মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যত রোহিঙ্গার সংখ্যা বলছে তত রোহিঙ্গা নেই। বিহারে এসআইআর করে কতজন রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে? তাঁদের নাম কি ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কমিশন?’
তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, ‘আমার প্রথম প্রশ্ন, অসমে কেন করলেন না SIR? আসলে অসমে ভুয়ো ভোটে জেতেন। এসআইআর করলে অসমে হেরে যেতেন। আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন, উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কেন এসআইআর করলেন না? ত্রিপুরা দিয়েও তো বাংলাদেশিরা ঢোকে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিহারের মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের অনেকের নাম বাদ চলে গিয়েছে৷ কিন্তু আমরা প্রথম থেকে ধরে ফেলেছি৷’
advertisement
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ এ দিনও তিনি দাবি করেছেন, ‘এসআইআর হলে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে৷ কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই মিছিল ভারতীয়দের মিছিল নয়, জামাতিদের জমায়েত৷’
এ দিন তৃণমূলের মিছিলের পাল্টা সোদপুরে এসআইআর-এর পক্ষে মিছিল করে বিজেপি৷ সেই মিছিলে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ বিরোধী দলনেতা হুঁশিয়ারি দেন, এসআইআর-এর কাজে বাধা দিলে ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার লিস্ট বেরোবে না৷ ভোটার লিস্ট না বেরোলে ভোট হবে না, তাহলে ৪ মে মধ্যরাতের পর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে৷
