ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে পেগাসাস ইস্যুতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। যা আসলে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। সেই ট্যুইটের নেপথ্যে সনিয়া গান্ধির সুনিপুণ কৌশলও খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। আর তা হলে আলাদা করে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপি বিরোধী প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
advertisement
আবার, নেত্রীর দিল্লি সফরের আগেই তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সংসদে পেগাসাস, কৃষি আইন সহ একাধিক বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একবগ্গা আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। তাঁদের সেই আন্দোলন নজর কেড়েছে গোটা দেশের। এই পরিস্থিতিতে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেও সংসদীয় রাজনীতিতে আগামীদিনের রূপরেখা তৈরি করে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মমতা।
আবার ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যের জন্য সওয়াল করবেন তিনি, তা বলাই বাহুল্য। বিশেষত করোনা টিকা নিয়ে রাজ্যের ক্ষোভের বিষয়টি ফের ওই বৈঠকে তুলে ধরতে পারেন তিনি। এই কদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন রাইসিনা হিল, রাষ্ট্রপতির দরবারেও। সেখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিষয়গুলিও উঠে আসতে পারে।
তৃতীয় বার বাংলা জয়ের পর এই প্রথমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দিনকয়েকের এই সফরেই যে ২০২৪-এর রূপরেখা তৈরি হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
