জেলা, শহরতলি থেকে শয়ে শয়ে মানুষ অপেক্ষা করছে কলেজ স্কয়্যারে। যেমন কথা ছিল সেই মতো বেলা ২ টো থেকে শুরু হল মিছিল। কলেজ স্কয়্যার থেকে মিছিলে পা মেলালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যােপাধ্যায়।
একাধিক অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে, তবুও উপনির্বাচন জিতেছে তৃণমূলই। বিরোধীরা বলেছেন, ”এটা কোনও বিষয় নয়। লক্ষ ২৬…”। তবে ১৮ জুলাই, যখন বঙ্গে আসছেন নরেন্দ্র মোদি, ঠিক তার আগেই ১৬ জুলাইয়ের মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! ২০২৬-এ বাংলায় তৃণমূলই ক্ষমতায় ফিরছে৷ আর তার পর ২০২৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করবে ইন্ডিয়া জোটই৷ বুধবার ভিন রাজ্যে বাঙালি নিপীড়ণের বিরুদ্ধে মিছিলের পর এমনই দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
advertisement
বৃষ্টি শুরু হল, কিন্তু মিছিল থামেনি, ছাতা মাথায় হেঁটেছেন অনেকেই, কিন্তু ছাতা নেই খোদ মমতার মাথায়। তিনি ভিজছেন , মিছিল এগোচ্ছে। পিছনে হাঁটছে জনসমুদ্র। যে সমুদ্রর গর্জন মনে করাচ্ছে ২৬ এর নির্বাচনের তৃণমূলের ট্যাগ লাইন ‘ বাংলায় বিরোধীদের বিসর্জন ‘।
মমতাকে এক ঝলক দেখবে বলে রাস্তায় ভিড়, বাড়ির ব্যালকনি থেকে কেউ কেউ নাড়ছেন হাত, কেউ কেউ মুঠো ফোনে বন্দি করে রাখতে চাইছেন এই বিশেষ মুহূর্ত। বাংলা ও বাঙালিদের অপমান এই মর্মেই প্রতিবাদী মিছিল করে তৃণমূল। ২১ জুলাইকে আলাদা করে রেখে ১৬ জুলাইয়ের এই মিছিল রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেছন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
ভিজেভিজে আসছে মিছিল, এস এন ব্যানার্জি থেকে না এসে মিছিল পথ বদলে লেনিন সরণী হয়ে ঢুকল ধর্মতলায়, সেখানেই স্টেজ তৈরি হয়েছে। তার ঠিক উল্টো দিকে ২১ এর জুলাইয়ের প্রস্তুতি চলছে। ১৬’র মিছিল যেন ২১-এর ট্রেলার…!