এ দিন হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয়, শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের মতো উত্তর কলকাতার কয়েকটি নামী পুজোর মণ্ডপে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এখনও দেবীপক্ষ শুরু না হওয়ায় পুজোর উদ্বোধন তিনি করছেন না৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার সময় হয় না। আজ আমি উৎসবের সূচনা করলাম। কাল থেকে পুজো উদ্বোধন করব। যারা নবরাত্রি করছেন তাদেরকেও শুভেচ্ছা ধন্যবাদ। এটাই আমাদের সংস্কৃতি।’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছর মণ্ডপে সশরীরে হাজির হয়ে এবং ভার্চুয়ালি প্রায় তিন হাজার পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর৷
advertisement
দেবীপক্ষের আগে কেন তিনি পুজোর উদ্বোধন করছেন, তা নিয়ে এ দিনও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই বিতর্কে ইতি টানতেই উদ্বোধন নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এ দিনও বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘পুজো উৎসব উপলক্ষে সবাই এক হন। সবার নিজস্ব মত আছে। একতার বন্ধনে সবাই আবদ্ধ হন। এই দেশ বিবিধের মাঝে মিলন মহান। আমি এটুকুই চাই আমি আমাদের মাতৃভাষাকে সম্মান করব। বাকিরাও করুক। কিন্তু বাংলা ভাষায় কথা বললে অত্যাচার এটা মেনে নেব না। এখান থেকে পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে যান কারণ এদের সবার প্রতিভা আছে। এরা ভাল কাজ জানে তাই এদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। আমরা চাই দেশ এক থাকুক।’
