এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গৌতম দেবকে ফোন করেন। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে। আলোচনায় উঠে আসে একাধিক বিষয়। গৌতম দেবের সঙ্গে কথা হয় দলের আরেক বরিষ্ঠ নেতা সুব্রত বক্সীরও। গৌতম দেব তারপরেই জানান দেন, কথাবার্তায় সমস্যাক সমাধান হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁর মন্তব্যের অপব্যখ্যা করা হচ্ছে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে।
advertisement
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে তৃণমূল-বিজেপির। বিজেপি বাংলা দখলের চেষ্টায় মরিয়া। এই অবস্থায় তৃণমূলে ভাঙন লেগেই রয়েছে। ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে ‘বেসুরো’দের তালিকা। তার সঙ্গে রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। এই অবস্থায় গৌতম দেব একটি সভায় বলেন, ১০০টি চিঠি দিয়েও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির রাস্তার সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। দলের পুরনো নেতার এই মন্তব্য নিয়ে চরম চরম অস্বস্তি তৈরি হয় দলের অন্দরেই।
গৌতম দেব-রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দ্বৈরথ এখন ওপেন সিক্রেট। ফলে জল্পনা ছিল, এই ক্ষোভের জেরেই কি গৌতম দেব চরম পথে হাঁটবেন? আপাতত বলা চলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই সব জল্পনাই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।
শুধু মমতাই নয়, সূত্রের খবর দলের বরিষ্ঠ নেতা সুব্রত বক্সীও এদিন কথা বলেন গৌতম দেবের সঙ্গে। সূত্রের খবর সু্ব্রত বক্সী তাঁকে বলেন, কোনও রকম সমস্যা তৈরি হলে তিনি যেন দলের উচ্চতর নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, সমস্যা সমাধানে দল দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।