দিল্লি যাত্রার আগে এ দিন মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ফলে বড় কোনও সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত ছিলই৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সরাসরি তদন্ত কমিটি গঠনের মতো সিদ্ধান্ত করে ফেলবেন, সেই আশা করেননি কেউই৷
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সংসদ চলাকালীনও দেখলাম এই বিষয়ে সরকারের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই৷ তাই ভেবে দেখলাম আমাদেরই কিছু করতে হবে৷ সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম ভি লকুর এবং কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করা হল৷ বেআইনি ভাবে কারা হ্যাকিং করছে, কীভাবে করছে এবং কীভাবে সবার মুখ বন্ধ করা হচ্ছে তা তদন্ত করে দেখব এই কমিশন৷ কেউ যদি না জাগে তাহলে তাদের জাগিয়ে তুলতে হয়৷ আমাদের এই ছোট্ট পদক্ষেপ অন্যদেরকেও পথ দেখাবে৷ '
advertisement
অবিলম্বে তদন্তের কাজ শুরু করার জন্য দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর আশা, দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট জমা দেবে কমিশন৷ এই ঘোষণা করেই দিল্লি যাওয়ার জন্য নবান্ন ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতার এই ঘোষণা যে পেগাসাস কাণ্ডে কেন্দ্রের উপরে চাপ আরও বাড়ালো, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কারণ মমতার দেখাদেখি অন্যান্য বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিও একই পথে হাঁটলে ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ডে আরও কোণঠাসা হবে মোদি সরকার৷
