মাঝেরহাট সেতু সংস্কারে গাফিলতি রয়েছে ৷ যার জেরে কাঠগড়ায় পূর্ত ও অর্থ দফতর ৷ ৮ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গাফিলতির যথেষ্ট প্রমাণও মিলেছে ৷ অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাই যেন সত্যি হল। মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের তদন্তে মুখ্যসচিবের রিপোর্টে উঠে এল পূর্ত দফতর ও অর্থ দফতরেরই আট আধিকারিকের নাম ।
২০১৬ সালে বিশেষজ্ঞ কমিটি সেতু সংস্কারের পরামর্শ দেয় ৷ ৪ বার টেন্ডারও ডাকা হয় ৷ অর্থ দফতরের কাছে টাকা চেয়ে ফাইল পাঠায় পূর্ত দফতর ৷ কিন্তু সেই টাকা বরাদ্দ হয়নি ৷ ফাইল আটকে থাকে অর্থ দফতরে ৷ কিন্তু, তারপরেও ব্রিজের সংস্কার হয়নি কেন ? মুখ্যসচিবের তদন্ত রিপোর্টে মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: বিজয় মালিয়ার লুক আউট নোটিশে কেন বদল ? সিবিআইয়ের যুক্তি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
প্রাথমিকভাবে আলিপুর জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সাউথ জোনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ও পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের আঙুল ৷
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে তাঁরা ওই পদে ছিলেন ৷ অর্থ দফতরের ৩ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে ৷ পূর্ত ও অর্থ দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ৷
তবে, তদন্ত আরও চলছে । এদিকে, খুব তাড়াতাড়িই মাঝেরহাট সেতু ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করতে চায় রাজ্য । এনিয়ে রেলকে চিঠিও দিচ্ছে তারা ।