বিবৃতিতে পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, '' দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে ১৬ পাতার প্রশ্নপত্রের মধ্যে থেকে। এই ঘটনাটি পরিকল্পনা মাফিক চক্রান্ত, ফাঁস নয়। যদি এটি ফাঁস হত, তাহলে প্রশ্নপত্রের ১৬ টি পাতাই পরীক্ষা শুরুর আগে প্রকাশ হত। আমরা ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি এই চক্রান্তের তদন্ত করার জন্য। পরীক্ষা শুরু হয়েছে দুপুর বারোটা থেকে, প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীদের দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সকাল ১১:৪৫ থেকে। যখন এই ছবিটি প্রচার করা হয়েছে তখন পরীক্ষার্থীরা এবং পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সবাই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে। সেক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব পরীক্ষার ওপর পড়েনি। যারা এই ধরনের বিষয়কে প্রচার করছে, তারা এই ধরনের চক্রান্তেরও প্রচার করছেন।"
advertisement
পর্ষদের তরফে শুক্রবার সন্ধেয় এই কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।যা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। পর্ষদ সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সাইবার ক্রাইমকে দেওয়া হচ্ছে তদন্তের জন্য। তবে আপাতত গোটা বিষয়টি নিয়ে যাচাই করতে চাইছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর আগেও পরীক্ষা শুরুর পরপর বিভিন্ন সময় সোশ্যাল সাইটে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও পর্ষদের তরফে এর আগেও বারবার দাবি করা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর পর পরই প্রশ্নপত্র সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে। তবে এবার নিরাপত্তার স্বার্থে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ন্যূনতম তিনটি সিসিটিভি বসানোর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট অ্যাপেরও ব্যবস্থা করেছে পর্ষদ। এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিমুহূর্তের আপডেট পর্ষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আসবে। অন্যদিকে এদিন পরীক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পর্ষদ সভাপতি।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়