মদন মিত্রের এই মন্তব্য়ের জবাব দিতে গিয়ে অবশ্য় বিজেপি-রই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হিরণ নিয়ে অস্বস্তিতর মধ্য়েই তাঁর দলবদলের জল্পনা নিয়ে দিলীপ বলেন, 'তৃণমূল নিলে নিয়ে নিক না, ঝামেলা চুকে যায়!'
আরও পড়ুন: কুড়ি দিনেই সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন ঘোষণা, ১১ মাস কেন বিধায়কহীন মানিকতলা? চিঠি দিচ্ছেন অধীর
advertisement
গত ১০ জানুয়ারি খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্য়ায় ক্য়ামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অফিসে যান বলে খবর ছড়ায়। কয়েকদিন আগে অভিষেকের দফতরে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে হিরণের একটি ছবি ভাইরাল হয়। এর পরেই বিজেপি-র তারকা বিধায়কের দলবদল নিয়ে জল্পনা চরমে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: সুদীপের 'গেট টুগেদারে' ব্রাত্য 'তাপস'! উত্তরের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতিই গরহাজির পিকনিকে?
হিরণ কিছু না বললেও বিজেপি অবশ্য় ওই ছবির সত্য়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ছবিটি পুরনো বলেও দাবি করা হয়।
এই প্রসঙ্গে মন্তব্য় করতে গিয়ে মদন মিত্র বলেন, 'কে জয়েন করবে, কে করবে না দলের নেতৃত্ব ঠিক করবে। সবাইকেই স্বাগত। শত্রুঘ্ন সিনহা, বনগাঁর বিশ্বজিৎ দাসরা (বাগদার বিধায়ক) আসতে পারলে অন্য়রাও পারে। আপনারা শুধু হিরণের কথা বলছেন, কিন্তু অভিষেকের কাছে যে মোড়া খামটা রয়েছে তাতে অনেক হরিণই ধরা পড়েছে! খামটা খুললে প্য়ান্ডোরার বাক্স খুলে যাবে। অভিষেককে ধন্য়বাদ, নামগুলো বলছে না। কারণ তাহলে বাংলায় বিজেপি-র পতাকা তোলার লোক থাকবে না।'
মদন যখন বিজেপি-র কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দিচ্ছেন, তখন যথারীতি দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। হিরণ প্রসঙ্গে দিলীপের সাফ কথা, 'তৃণমূল নিলে নিয়ে নিক, ঝামেলা চুকে যায়।' এই মন্তব্য় করে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দলের বিধায়ককেই 'ঝামেলা' বলে কটাক্ষ করলেন কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে। অতীতেও অবশ্য় তৃণমূল থেকে দলে আসা নেতাদের নিয়ে অসন্তোষ গোপন করেননি দিলীপ। তবে বিজেপি নেতা অবশ্য় আরও বলেছেন, বিতর্কে ইতি টানতে যা করার হিরণকেই করতে হবে।