এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলে, ৩৯৭৩। সোমবারের দুর্ঘটনা ঘটে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে, সেখানে শূন্যপদ ৪২৮। রাজ্যের অন্য দুটি জোনের মধ্যে পূর্ব রেলে ১৩৮২ এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলে ১০০১ টি শূন্য পদ রয়েছে। সহকারী চালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের এতগুলো ফাঁকা থাকলে পরিষেবা এবং নিরাপত্তা দুইই বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা। বর্ধিত শূন্যপদ ১৮৭৯৯, শূন্যপদ অবহিত করা হয়েছে ৫৬৯৬।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু! বুধবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ, ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন?
অন্যদিকে, প্রাথমিক তদন্তে সামনে এসেছে মালগাড়ির চালক তার পেপার লাইন ক্লিয়ারেন্স দেখে নিয়ে ট্রেন চালিয়েছে। কপিবুক গতিতে ট্রেন ছুটেছে। সেক্ষেত্রে লেভেল ক্রসিং যা ৬৫৪ আর ৬৫২ নম্বরের মাঝে আছে, সেখানের পরিস্থিতি কী ছিল তা দেখে নিতে চাইছেন সিসিআরএস। আর কাঞ্চনজঙ্ঘার সামনে যে লেভেল ক্রসিং আছে অর্থাৎ ৬৫০ থেকে ৬৪৮ এর মাঝে যে লেভেল ক্রসিং আছে সেখানে ওই সময়ে কী চলছিল তাও দেখতে চায় সিসিআরএস।
এদিকে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারা গেল না দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির সহকারী চালককে। CCRS নিজে কথা বলতে চান তার সঙ্গে। দুই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সহকারী চালক মোনা কুমার। তার বয়ানের ওপর নির্ভর করবে এই তদন্তের একটা বড় বিষয়। শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি আছেন। মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত তিনি, যে সাধারণ কথাও বলছেন না।