কলকাতা: দমদমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুক্রবারের সভাকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিজেপির ঘরোয়া কলহ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল। শুধু দিলীপ ঘোষই নন, শুক্রবার মোদির সভায় ডাক পাননি বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। আবার মঞ্চে দেখা যায়নি দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা তারকা মিঠুন চক্রবর্তীকেও। অথচ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় মঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন লকেট, মিঠুন ছিলেন অন্যতম বক্তা।
advertisement
যদিও প্রধানমন্ত্রী সভায় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে না দেখতে পেয়ে সভামঞ্চ থেকে ফোন করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু লকেট চট্টোপাধ্যায়ের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগদানের কোনও সূচি বা আমন্ত্রণপত্র তাঁকে পাঠানো হয়নি। তাই তিনি অনুপস্থিত। যদিও দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় মঞ্চে মূল দায়িত্বে ছিলেন লকেট।
এদিকে, মিঠুনের অনুপস্থিতি নিয়েও শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। মিঠুনকেও সরকারি ভাবে দলের তরফে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলেই তিনি আসেননি বলে খবর। যদিও রাজ্য বিজেপির একাংশের দাবি, মিঠুন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকাতেই আসতে পারেননি।
এদিকে, দলের অনুষ্ঠানে ফের ব্রাত্য রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ নিয়ে মোট ৩ বার তাঁকে বড় সভায় এড়িয়ে গেল দল। শুক্রবার দমদমে ফের নরেন্দ্র মোদির সভায় আমন্ত্রণ পাননি তিনি। তাই শুক্রবার সকালের বিমানেই বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আপনি কোথায় যাচ্ছেন? প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ জানিয়েছিলেন, ”আমি বেঙ্গালুরু যাচ্ছি রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে দেখা করতে। একটা মিটিং পেন্ডিং ছিল। ওরা চিঠি দিয়ে দেখা করতে বলেছে। কাল ফিরব।” আজই কেন? আজ শহরে নরেন্দ্র মোদি আসছেন। দিলীপের জবাব ছিল, ”আজকেই মিটিংয়ে ডেট। উনি চিঠি দিয়ে কনফার্ম করেছেন। আমার আজ কলকাতায় কোনও কাজ নেই।”