চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত কুণালের পাসপোর্ট জমা রয়েছে আদালতে। সেই কারণে বিদেশ যাওয়ার আগে তাঁকে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। অতীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লন্ডন সফরে যাওয়ার আগেও অনুমতি নিতে হয়েছিল তাঁকে। মমতা লন্ডনে তিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। পেশাগত কারণে তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন কুণাল। তাই বিদেশ যেতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ডিভিশন বেঞ্চ কুণাল ঘোষকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়। পাঁচ লক্ষ টাকা জমা রেখে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি। মেয়াদ ছিল ২১ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। কোর্ট সেই সময় জানিয়েছিল, এই সময়ের মধ্যেই ফিরে আসতে হবে কুণাল ঘোষকে। সেই নির্দেশ মেনে কুণাল ফিরেও আসেন।
advertisement
গতবারের মতো এবারও বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কুণাল ঘোষকে আদালতে ৫ লক্ষ টাকা জমা রাখতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী তিনি আদালতে টাকা জমা রাখেন। বিদেশ সফর সেরে ফেরার পর আবার ওই টাকা ফেরত পাবেন। কুণাল ঘোষ বলেন, “জামিনের শর্তেই ছিল বিদেশ যেতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আইন মেনে আমি সেই অনুমতি নিয়েছি।”
জামিনের শর্ত অনুযায়ী, তাঁর পাসপোর্ট জমা ছিল সিবিআইয়ের কাছে। ২০১৭ সালে সারদা মামলায় জামিন পান তিনি। এর ৬ বছর পর ২০২৩ সালে কুণাল প্রথমবার বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাই কোর্ট শর্তসাপেক্ষে সেই অনুমতি দেয়। এর পর একাধিকবার বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।