বর্তমানে বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে, ন্যূনতম তথ্য-সহ একটি ফর্ম ফিল-আপ করলেই পাওয়া যায় পরিবেশ দফতরের প্রাথমিক শংসাপত্র। তা দেখিয়ে সহজেই মেলে বহুতলের মাস্টারপ্ল্যান পাস বা ফায়ার ক্লিয়ারেন্স। তবে বহুতল তৈরির পর অনেকসময়েই বেআইনি কার্যকলাপ ধরা পড়ে ৷ সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমায় জড়াতে হয় পরিবেশ দফতরকে। এই সমস্যা এড়াতেই এখন উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার পরিবেশ দফতরের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দু'লক্ষ বর্গ ফুট বা তার বেশি মাপের বহুতলের ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে, নিয়মে আমূল বদল আনা হবে।
advertisement
পরিবেশ ছাড়পত্রের নয়া নিয়ম
- জমির চরিত্রের শংসাপত্র জমা দিতে হবে
- জমির চরিত্র বদল হলেও দিতে হবে তার পৃথক শংসাপত্র
- আর্বান ল্যান্ড সিলিং বা জমির ঊর্ধ্বসীমার শংসাপত্রও বাধ্যতামূলক
- জমা দিতে হবে বহুতলের 'আউটলাইন স্কেচ'
দ্রুতই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপধ্যায় ৷ তিনি বলেন, ‘‘জমির চরিত্র যাতে কোনও রকম ভাবে পরিবর্তন না করা হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা সুনিশ্চিত করতেই এই নয়া ব্যবস্থা।’’
এত দিন পরিবেশ দফতরের প্রাথমিক ছাড়পত্র পেতে পরিবেশ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র আগাম না দিলেও চলত। আবাসন নির্মাণের পরে দেখা যেত, পরিবেশ-বিধি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়নি। পরিবেশ দফতর আদালতে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের জরিমানা হত। তখন শুধু জরিমানা দিয়েই ছাড় পেয়ে যেতেন ওই প্রোমোটার। পরিবেশ-বিধি মানাটা বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এমনটা বন্ধ করতে এখন তৎপর রাজ্যসরকার ৷