নীলের ভাগ্নে সোহম মুখোপাধ্যায় ৷ মামা নীলের সঙ্গে বয়সের ফারাক মাত্র তিন বছর হওয়ায় তাঁদের দু’জনেই ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ৷ ছোটবেলায় আর চার পাঁচটা ছেলের মতো ঘরের বারান্দায় ফুটবল খেলা থেকে শুরু করে বাড়ির নীচের কম্পলেক্সে ফুটবল , ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনের মতো সমস্ত আউটডোর গেমসই তাঁরা খেলেছেন চুটিয়ে ৷ দু’জনেই আবার লিভারপুলের বড় সমর্থক ৷ তাই স্টিভেন জেরার্ড অবসর নেওয়ার পর ভাগ্নেকে ওয়েলস থেকেই নীল জানিয়েছিলেন, ‘‘ দুঃখ করিস না, ভারতে আইএসএল শুরু হয়েছে ৷ হয়তো ওখানেই জেরার্ডকে খেলতে দেখবি একদিন ৷’’
advertisement
২০০৩ সালের পর ১০ বছর বাদে ফুটবলেরই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন নীল ৷ মাত্র তিন দিনের সফরে অধিকাংশ সময়টাই ওয়েলসের এই ফুটবলারের কেটেছিল ইস্টবেঙ্গল মাঠে ৷ কিন্তু ওই ছোট সফরেও কলকাতায় পরিবারের লোকজনের জন্য সময় বের করেছিলেন তিনি ৷ পাঁচতারা হোটেলে লাঞ্চে যাওয়া থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত ভাগ্নের সঙ্গে আড্ডা, সবই ছিল নীলের Busy Schedule-এ ৷
মামার মতো ভাগ্নে সোহমেরও ফুটবলের প্রতি ভালবাসা শুরু অনেক ছোট বয়স থেকেই ৷ সোহমই জানান, মাত্র ৯ বছর বয়সে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-র অ্যাকাডেমিতে ফুটবল শেখা শুরু করেন নীল ৷ এরপর ১৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের রেক্সম নামের একটি ক্লাবে যোগ দেন তিনি ৷ ২০১০ সালে সোয়ানসি সিটিতে যোগ দেন নীল ৷ ওই বছরই ডিভিশন ওয়ান থেকে প্লে অফ খেলে প্রিমিয়ার লিগ খেলার সুযোগ পায় সোয়ানসি সিটি ৷ কেরিয়ারের শুরুতেই চেলসি এবং নিউক্যাসলের মতো ক্লাব থেকেও অফার আসে নীলের কাছে ৷ কিন্তু ওয়েলসের এই লেফট ব্যাক চাননি নিজের ক্লাব ছেড়ে দিতে ৷
এবারের ইউরো কাপে নিজের খেলায় নজর কাড়তে সফল নীল টেলর ৷ কিন্তু কলকাতা বা ভারতেও যে তাঁকে নিয়ে এত মাতামাতি হতে পারে, সেটা হয়তো কল্পনা করেননি নীল নিজেও ৷ এদেশের কাগজে ছাপা নীলকে নিয়ে একাধিক article ভাগ্নেই ই-মেল করে পাঠিয়েছে মামাকে ৷ যা দেখে অবাক সোয়ানসি সিটির এই ফুটবলার ৷ ওয়েলস এবং ভারত-দু’দেশের নামই এখন উজ্জ্বল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি ৷ পর্তুগালের সঙ্গে ইউরো সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে ভাগ্নে সোহমের একটাই আক্ষেপ, ‘‘অলিম্পিকে নেইমার, ইউরোতে রোনাল্ডোর সঙ্গে খেলা তো হল, শুধু মেসির সঙ্গেই মনে হয় নীলের খেলাটা আর হল না .......’’ ৷