রাজ্যজুড়েই বাড়ছে টোটো-ভ্যানোর রমরমা। তারইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এরসঙ্গে জড়িত মানুষের সংখ্যা। টোটো-ভ্যানোর সঙ্গে যুক্ত লক্ষাধিক পরিবারের রুজি-রুটি বাঁচাতে এবার উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। আইনি জট ছাড়িয়ে রাজ্যের বেআইনি টোটোকে স্বীকৃতি দিতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে টোটো বিতর্কে অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য।
হাইকোর্টে রাজ্যের হলফনামা
advertisement
১. ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং লক্ষাধিক পরিবারের জীবন এরসঙ্গে জড়িত
২. কোনও তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত আইনশৃঙ্খলা ও আর্থ-সামাজিক সমস্যা তৈরি করতে পারে
৩. নতুন করে টোটো ও ভ্যানোর অনুমোদন দেবে না রাজ্য
৪. ইতিমধ্যেই রাস্তায় নামা টোটো ও ভ্যানোগুলিকে চিহ্নিত করে তার তালিকা তৈরি করবে বিডিও এবং পুরসভাগুলি
৫. পরিবেশবান্ধব হওয়ায় টোটোয় প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন ঘটিয়ে কীভাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় তার সবদিক খতিয়ে দেখা উচিত
৬. টোটোয় প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল কমিটি গড়ছে রাজ্য
৭. ব্যাঙ্ক ঋণ পেলে টোটো মালিকরা ই-রিকশার দিকে ঝুঁকতে পারেন
৮. টোটো সংক্রান্ত আইন বা নীতিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন আনা যেতে পারে
রাজ্যের সদিচ্ছা থাকলেও, মোটর ভেহিক্যালস আইন কেন্দ্রের আওতায়। তাই টোটোকেও আইনের সীমার মধ্যে আনতে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করেই এগোতে চায় রাজ্য।
মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যে নতুন টোটোয় অনুমোদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। টোটোর দুর্ঘটনা বিমা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের বিষয়টি অবশ্য রাজ্যে সদিচ্ছার উপরই ছেড়েছেন প্রধান বিচারপতি।