বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কালো মেঘে ঢাকা ছিল আকাশ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও চলতে থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ঘনীভূত হয় অন্ধকার। দুপুর থেকে শুরু হয় অঝোরধারায় টানা বৃষ্টি। আর তাতেই জলমগ্ন হয়ে পরে শহর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা।
ইয়াস-এর প্রভাবে বুধবার কলকাতার কালীঘাট, চেতলা প্রভৃতি জায়গায় জল জমেছিল। সেই জল সরে গেলেও বৃহস্পতিবার ফের জল জমতে শুরু করে ওই এলাকাগুলিতে। এমনিতেই বৃহস্পতিবারও ভরা কোটাল রয়েছে। তার ফলে জোয়ারের জল না নামা পর্যন্ত গঙ্গার লকগেট খোলা যাবে না বলেই পুরসভা সূত্রে খবর। তার মধ্যেই প্রবল বৃষ্টিতে কলকাতার একাধিক জায়গায় জল জমায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন শহরবাসী।
advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুর ২.০৩ মিনিটে গঙ্গার জলস্তর সর্বাধিক বৃদ্ধি পায়। যার ফলে কালীঘাট-চেতলা-টালিগঞ্জ এলাকার একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তার ওপরে একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে শ্যামবাজার থেকে হাজরা।জলের তলায় চলে যায় কলেজ স্ট্রিট থেকে বালিগঞ্জ।কলকাতা পুরসভা আগেই জানিয়েছেল, সকাল ১১.৩০ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত জল বাড়ার কারণে লকগেট বন্ধ থাকবে। লকগেট বন্ধ থাকাকালীন বৃষ্টি হলে জল জমতে পারে শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
অন্যদিকে জল বেড়ে বেলুড়ে ডুবে গিয়েছে স্নানের ঘাট। তবে মন্দিরে আজ আর নতুন করে জল ঢোকেনি।একে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জের। তার উপরে গঙ্গায় জোয়ার। দুইয়ের যোগফলে কলকাতাতেও রীতিমতো ফুঁসছে গঙ্গা। কিছুদিন আগেই প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছিল কলকাতার জনজীবন। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজভবনের সামনে এক যুবকের মৃত্যু হয়। কয়েক দিনের মধ্যে ফের জল জমার আশঙ্কায় অশনি সংকেত দেখছে প্রশাসনও।
