১ অক্টোবর ভোরবেলা জাল কালো জিরে এবং জাল ধনিয়া উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই সূত্র ধরে বিভিন্ন জায়গায় রেড করতে থাকেন গোয়েন্দারা। ৬ অক্টোবর রাতে বেলঘড়িয়া এলাকা থেকে একজন জাল ধনিয়ার কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই জাল ধনিয়া কী? এই জাল ধনিয়া হল, নষ্ট হয়ে যাওয়া ধূসর, কালো রঙের ধনিয়াকে কার্বাইড এবং হলুদ রংয়ের সহযোগে চকচকে ধনিয়া হিসেবে প্রস্তুত করা। যেমন, প্রথমে কার্বাইড হালকা করে মিশিয়ে ধনিয়ার সঙ্গে এবং ঘরের মধ্যে কার্বাইড জ্বালিয়ে ধোয়া করে, জানালা-হীন ঘরের দরজা বন্ধ করে সাত-আট ঘণ্টা খারাপ ধনিয়াটাকে রেখে দেওয়া হয়। তাতে ধনিয়ার উপরের অংশে যে কালো দাগ সেটা চলে যায়। এরপর হলুদ রং স্প্রে করে ভালো করে মাখিয়ে ওটাকে হলদেটে করে তোলা হয়।
advertisement
বাজারে সেই চকচকে ধনিয়া সাধারণ মানুষ খাচ্ছে। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, 'এই ধনিয়াতে প্রচুর পরিমাণে ফাঙ্গাস থাকে। সেই ফাঙ্গাস থেকে যে টক্সিন তৈরি হয় মানব শরীরে গেলে ক্যান্সারের কারণ। এছাড়াও কার্বাইডের কেমিক্যালের অপকারিতা রয়েছে মানব শরীরে। সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং ক্ষতি করে মানুষের শরীরে।'
আরও পড়ুন: সমকামী সম্পর্কের জেরে রেলকর্মী খুন, দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ!
গতকাল হাবরা এলাকার আকরামপুরে, আগে ধৃত পল্টন সাহার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- জীবন বণিকের গোডাউনে এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা হানা দিয়ে ১৯০০কেজি চকচকে হলদেটে ধনিয়া উদ্ধার করে।সঙ্গে জাল ধনিয়া প্রস্তুতের জিনিসপত্র উদ্ধার করে। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক যুগলকিশোর দাঁ জানান, খাদ্য নিয়ে অপরাধের চক্র যেভাবে ছড়িয়ে রয়েছে।পুজোর আগে এই চক্র ধরা পড়ার ফলে মানুষের অনেকটা উপকার হল।তবে এই অপরাধ চক্র তারা আরও ধরবেন।