প্রথম ছ’মাসেই রেকর্ড আয় কলকাতা পুরসভার। কলকাতা পুরসভার রাজস্ব আয় বেড়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। যে কোনও উপায়ে আয় বাড়ানোই লক্ষ্য ছিল পুর কর্তৃপক্ষের। শহরজুড়ে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে তৎপরতা শুরু করে বিল্ডিং বিভাগ। সম্পত্তিকর মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায় বিভাগ কড়াকড়ি শুরু করে। যার ফলও পেয়েছেন পুর আধিকারিকরা হাতে নাতে। অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসেই সম্পত্তিকর, বিল্ডিং, ট্রেড লাইসেন্স-সহ বিভিন্ন বিভাগে রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আয় বাড়তেই পুর পরিষেবায় গতি আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
advertisement
আরও পড়ুন- নজরে ২০২৪, চেন্নাইতে আজ মুখোমুখি মমতা-স্ট্যালিন, জাতীয় রাজনীতিতে নয়া চমক
পুরসভার আয় বৃদ্ধি
★মোট রাজস্ব আদায়- বর্তমান আর্থিক বছরের প্রথম ছয় মাসে হয়েছে এক হাজার ৯৯ কোটি টাকা। গত আর্থিক বছরের প্রথম ছয় মাসে ছিল ৭৩৭ কোটি টাকা।
★শুধুমাত্র সম্পত্তিকর- বর্তমান আর্থিক বছরের প্রথম ছয় মাসে আদায় হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে এই আয় ছিল ৫১০ কোটি টাকা।
★বিল্ডিং বিভাগের কর আদায় বর্তমান বছরে ১৮৯ কোটি টাকা। গত বছর ছিল ৮৮ কোটি টাকা।
★লাইসেন্স বিভাগে করা দায় বর্তমান বছরে ৪৬ কোটি টাকা গত বছরে হয়েছিল ৪১ কোটি টাকা।
★বাজার বিভাগে বর্তমান বছরে ৩০ কোটি টাকা গত বছর হয়েছিল ১৪ কোটি টাকা।
★এস ডব্লু এম বিভাগে বর্তমান বছরে ২২ কোটি টাকা গত বছর হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-তিন-তিনবার ফোন করেও মায়ের গলা শুনতে পাননি... ডুকরে কেঁদে ফেললেন অর্পিতা!
চলতি পুর-বোর্ডের শুরুতে পুরসভার ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা ছিল। পুরসভার আর্থিক বোঝা ছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। আটকে ছিল বিভিন্ন প্রকল্পে ঠিকাদারদের টাকা। ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী বা অন্যান্য বিভাগের অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি দেওয়া যাচ্ছিল না। আটকে ছিল পুরকর্মীদের বিভিন্ন ভাতাও। টাকার অভাবে কখনও পেনশন প্রাপকদের প্রাপ্য আটকে থাকা, কখনও আবার মজুরি না পেয়ে অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে পুরসভা। এবার আয়বৃদ্ধির ফলে এই ধরনের সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে ধারণা। সেই সঙ্গে পুর পরিষেবার গতিও বাড়বে।
২০২১-২২ সালে রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ৮৮৫ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে পুরসভার আয় হয়েছিল ৮৫৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে পুরসভা কর আদায় হয়েছিল ৬৬২ কোটি টাকা।
ইতিমধ্যেই, রডন স্ট্রিট ও ডালহৌসী এলাকায় দু’টি বেসরকারি সম্পত্তি নিলামের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
যে কারণে পুরসভার আয় বৃদ্ধি
★বিল্ডিং বিভাগ থেকে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি। প্রয়োজনে জরিমানা আদায়।
★অতিরিক্ত সম্পত্তিকর বকেয়া রয়েছে এমন সম্পত্তি করা আদায়ের অতিরিক্ত জোর। প্রয়োজনে আধিকারিকরা নিজেরা গিয়ে কর আদায় ব্যবস্থা।
★ শহরের দুটি বাড়ি এমন রয়েছে যেখানে সম্পত্তিকার অনেক বকেয়া সেই বাড়িগুলির সম্পত্তি নিলামের প্রক্রিয়া শুরু।
★সেলফ অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করা
★ বাজার ও পার্কিংয়ে কর আদায়ে অতিরিক্ত নজরদারি।