রেলের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খিদিরপুর স্টেশনের জন্য 837 বর্গমিটার মতো জায়গা প্রয়োজন। তবে তা কলকাতার সশস্ত্র পুলিশের বডিগার্ড লাইনের আওতায় পড়ছে। আর এই এলাকা ব্যবহার করা হতো স্টেশনের ভেন্টিলেশন শ্যাফট, প্রবেশ-প্রস্থান পথ নির্মাণের জন্য। এমনকি সংস্থাটি এও প্রস্তাব দিয়েছিল, যে সমস্ত বাড়ি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছ, সেগুলো তারা নতুন করে নির্মাণ করে দেবে।বর্তমানে জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত 8 কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড মেট্রো চালু হয়েছে। আর এই রুটের পরবর্তী স্টেশন মোমিনপুর, যা শেষ এলিভেটেড স্টেশন। তবে খিদিরপুর হওয়ার কথা ছিল প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশন। কিন্তু জমি নিয়ে এই টালবাহানার জেরে মোমিনপুরের পর হয়তো ট্রেন সরাসরি ভিক্টোরিয়া স্টেশনে গিয়ে থামবে।
advertisement
আর এর জেরে মোমিনপুর থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩.২ কিলোমিটার দূরত্ব হয়ে যাবে, যা কিনা আদর্শ মেট্রো স্টেশনের ৭০০ মিটার থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এখন দেখার, ভবিষ্যতে কোন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। শহরের মেট্রো প্রকল্পে অবশ্য স্টেশন পরিকাঠামো নির্মাণের জায়গা না মেলায়, এমারজেন্সি এভাকুয়েশন পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে অতীতেও।
হাওড়া স্টেশন থেকে মহাকরণ অবধি সুড়ঙ্গ পথে মেট্রো যাত্রার দূরত্ব দেড় কিমি’র বেশি। তাই ফুল বাজারের কাছে তৈরি করা হয়েছে এমারজেন্সি এভাকুয়েশন পয়েন্ট। একই প্রকল্পে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার এলাকায় স্টেশন পরিকাঠামো নির্মাণের অসুবিধা থাকায় বউবাজার দূর্গা পিতুরী লেনে একটা এমারজেন্সি এভাকুয়েশন পয়েন্ট বানানো হয়েছে। এক্ষেত্রেও আগামী দিনে খিদিরপুরে মেট্রো স্টেশন নির্মাণ করতে না পারা গেলে এমারজেন্সি এভাকুয়েশন পয়েন্ট তৈরি করতে হবে। সেটি কোথায় হবে তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা ।