বছরে ২২২ দিনের কর্মদিবস লক্ষ্য, এই নতুন সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্টের ছুটি সংক্রান্ত ৪ বিচারপতির বিশেষ কমিটি। কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী।
২০২৫ সালে হাইকোর্টের কর্মদিবস ২১২ দিন, তা আরও ৭ দিন বাড়ানোর প্রস্তাব দিল কমিটি।
হাইকোর্টের আইনজীবীদের এক সংগঠন পক্ষে মতামত দিলেও আপত্তি জানিয়েছে ২ সংগঠন।
advertisement
কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে জানায়, দেশে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা কমাতে হাইকোর্টগুলি বছরে নূন্যতম ২২২ দিন কর্মদিবস রাখবে। অর্থাৎ ২২২ দিন হাইকোর্টে সম্পূর্ণ সচল থাকবে বিচারের কাজ।
আরও পড়ুন:সিবিআইয়ের হাতে সবচেয়ে বড় ‘অস্ত্র’! আরজি কর কাণ্ডে বিরাট মোড়, সব নজর সোমবারে! কী এমন ঘটতে চলেছে?
আরও পড়ুন:মামলার পাহাড়, ভাঙবে হাইকোর্টের ‘ছুটির ট্র্যাডিশন’? লক্ষ্মী থেকে কালী পুজো পর্যন্ত ছুটি বাতিল? পড়ুন
কলকাতা হাইকোর্টের জন্মলগ্ন থেকে এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মী পুজো থেকে কালী পুজোর মধ্যে হাইকোর্ট সম্পূর্ণ সচল থাকার রেওয়াজ নেই। জরুরি মামলার জন্য পুজো অবকাশ কিছু বেঞ্চ তৈরি করা হয়।
একইরকম ভাবে গরমের ছুটি এবং শীতের ছুটির সময়ও অবকাশ বেঞ্চ তৈরি হয় হাইকোর্টে। তবে সেগুলি সবই জরুরি মামলার জন্য কয়েকটি বেঞ্চ।
রাজ্যের ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কলকাতা হাইকোর্টের কর্মদিবস হয় ২১০-১২ দিন। ২০২৫ সালের ছুটির নিরিখে কর্মদিবস হচ্ছে ২১২ দিন। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাকে মাথায় রেখে এবং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন মামলার সংখ্যা কমাতে বৈঠকে বসে ছুটি সংক্রান্ত হাইকোর্টের বিশেষ কমিটি এবং তিন আইনজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, বার লাইব্রেরি পুজোর ছুটির মধ্যে ছুটি বাতিল করায় আপত্তি জানায়। তাঁদের যুক্তি, কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা বাড়ানো গেলেই সমস্যার সমাধান করা যায়। ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা হাইকোর্টে। তা দীর্ঘদিন ধরেই নেই। আর এক সংগঠন ‘ইনকরপোরেট ল সোসাইটি’ সহমত পোষণ করেন ৭ দিন কর্ম দিবস বাড়ানোয়।
হাইকোর্ট-এর বিশেষ কমিটির প্রস্তাব ছিল, প্রতি মাসের প্রথম এবং তৃতীয় শনিবার হাইকোর্ট খোলা রাখার। আর তা না হলে ছুটির সংখ্যা কমিয়ে কর্ম দিবস বাড়ানো। হাইকোর্টের বিশেষ কমিটি পুজোর ছুটি বাতিল করে কর্ম দিবস বাড়ানোয় সায় দিয়েছে।
এখন দেখার হাইকোর্টের দুই সংগঠন যারা আপত্তি জানিয়েছে তারা এই সিদ্ধান্তের মোকাবিলা কীভাবে করে। নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ ক্যালেন্ডার তৈরি হয় হাইকোর্ট ফুল বেঞ্চের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত মেনে। সারা দেশের ঐতিহ্যবাহী কলকাতা হাইকোর্টে ‘ছুটির ট্র্যাডিশন’ কি ভাঙবে? উত্তর মিলতে পারে শীঘ্রই।