আদালতে আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘‘ওঁর কাজ ছিল হুইসেল ব্লোয়ারের। কিন্তু করেননি। উনি নির্যাতিতাকে সুরক্ষা দিতে পারেননি। উল্টে অভিযুক্তদের কুকর্ম করার সুযোগ দিয়েছেন। ওনার কাজ নিরাপত্তা দেওয়া। সবটা দেখেছেন। নিরাপত্তা দেননি।’’ আইনজীবীর কথায়,ঘটনা সম্পর্কে আরও জেরা করা প্রয়োজন আছে৷ তিন অভিযুক্তর সাথে এই নিরাপত্তা রক্ষীকে একসাথে অর্থাৎ মুখোমুখি জেরা করতে হবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: পাশে পড়ে কিছুটা কাদা আর পাথর…দেখেই দৌড়ে গেলেন রেলকর্মী! আর একটু হলেই যা হত…ভয়ঙ্কর
এছাড়া, জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজের সাথে এই নিরাপত্তা রক্ষীর বয়ান মিলিয়ে দেখতে হবে ৷ পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের সাথে এই নিরাপত্তারক্ষীর বয়ান মিলিয়ে দেখতে হবে৷
পাল্টা অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, ১২ হাজার টাকার মাস মাইনের কর্মী নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনায় প্রথমে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর আরও ধারা যুক্ত করে পুলিশ। নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ধারা নিরাপত্তারক্ষীর উপর প্রযোজ্য নয়। কিছুই করেনি। নিজে ভীত সন্ত্রস্ত। ঘটনার সাথে কোনও ভাবেই যুক্ত নন তিনি৷
যদিও আদালত পিনাকীর জামিন মঞ্জুর করেনি৷ সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ধৃত নিরাপত্তারক্ষ ৫৫ বছরের পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷