কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মনোজিৎ কীভাবে কসবা আইন কলেজেই অস্থায়ী চাকরি পেল বা এত ক্ষমতাসীন হয়ে উঠল, ছাত্রীর গণধর্ষণ কাণ্ডের পর সেই প্রশ্ন সব মহল থেকে উঠতে শুরু করেছে৷ ক্ষমতার জোরেই বেপরোয়া মনোজিৎ কলেজের ভিতরেই ছাত্রীর উপরে নির্যাতন চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে৷ যদিও মনোজিতের এই বেপরয়ো হয়ে ওঠার পিছনে কলেজ পরিচালন পর্ষদের ভূমিকাকেই দায়ী করেছেন ভাইস প্রিন্সিপাল৷
advertisement
মনোজিৎ প্রসঙ্গে মুখ খুলে তিনি বলেন, পরিচালন সমিতির নির্দেশে যা হওয়ার হয়েছে৷ বিভিন্ন সময়ে এখানে ছাত্রদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল। দীর্ঘদিন ধরে কলেজের পরিচালন সমিতি একই রয়েছে। পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন অশোক দেব। আমার সময় মনোজিৎ মিশ্রের কোন বারবারান্ত হয়েছে, এই কথাটা আমি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি।”
কলেজ পরিচালন সমিতির দিকে আঙুল তুলে নয়নাদেবী আরও বলেন যখনই কোনও পড়ুয়াকে রক্ষা করা বা কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রয়োজন হয়েছে, কলেজ পরিচালন সমিতি সেই অনুযায়ী নোটিস দিয়েছে৷ যে অভিযোগ এসছে সেই অভিযোগের পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারও নিয়োগ বা বাড়বাড়ন্ত কোনও সময় একজন ভাইস প্রিন্সিপালের দ্বারা হয় না। সরকার পরিচালিত কলেজে পরিচালন সমিতির সভাপতি থাকেন মাথার উপরে। ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে আমি যা করেছি জিবি-র নির্দেশে করেছি৷ আমি পুলিশকে, আদালতকে সবরকম সাহায্য করব। পরিচলন সমিতির সিদ্ধান্ত আমাকে ওই সময়ও মানতে হয়েছে, এখনও মানতে হবে। যে অভিযোগগুলি এসেছে সব পরিচালন সমিতির কাছে জানানো হয়েছে। পরিচলন সমিতি যে রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেরকমই কাজ হয়েছে।
কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের আরও দাবি, কোনও পড়ুয়ার বিরুদ্ধে যখনই কোনও অভিযোগ উঠেছে, তা পরিচালন সমিতিকে জানানো হয়েছে৷ ফলে মনোজিতের কাণ্ডকারখানা সম্পর্কে যে পরিচালন সমিতি অবহিত ছিল, পরোক্ষে সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন ভাইস প্রিন্সিপাল৷
মনোজিতের সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেছেন নয়নাদেবী৷
