ধৃতদের মধ্যে একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা অসিত সর্দার৷ অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান অসিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তনী৷ এবছরই স্নাতক হয়েছেন তিনি৷ তবে থাকতেন হস্টেলেই৷ অসিতের মা জানান, তাঁর ছেলে কোনও ভাবেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন৷ তিনি বলেন, ‘‘ওখানে ছিল, ঘটনাটা ঘটলে বাড়ি চলে এসেছিল৷ কার সঙ্গে যুক্ত আমি তো বলতে পারব না, আমার ছেলে জড়িত থাকবে না, আমার ছেলে নির্দোষ৷’’
advertisement
অসিতের মা জানান, তাঁর ছেলে তাঁকে বলেছে, ‘‘এই এই হয়েছে, এই জানি৷ আমরা যেটা জানি সেটা বলেছি৷ আমরা দেখলাম..এই রকম ভাবে পড়ে রয়েছে৷ তাড়াতাড়ি করে কোথায় কী করল..’’
আরও পড়ুন: চা খাইয়ে সৌরভই নিয়ে গিয়েছিল সিনিয়রদের ঘরে, তার পরে ৬ জন মিলে তিন ঘণ্টা টানা ‘নির্যাতন’?
তিনি জানান, ওই দিনই হস্টেল থেকে ‘পালান’ অসিত সহ অন্যান্যেরা৷ সেই দিনটা কোথাওয কাটিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলাই বাড়িতে ফিরেছিল অসিত৷ ওই ছাত্র যে সময় পড়ে যায়, সেই সময় অসিত কোথায় ছিল, তা তাঁর মাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রুমে (হস্টেলের ঘরে) ছিল৷’’
অসিতের মায়ের দাবি, ছেলে বাড়ি ফেরার পরে তাঁর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেননি তিনি৷ বেশ হাসিখুশিই ছিল৷ সবার সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করে কথাও বলেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাও সবাইকে বলেছে বলে জানান তাঁর মা৷
অন্যদিকে, ঘটনার সময় হস্টেলেই ছিলেন ধৃত অপর প্রাক্তন ছাত্র সুমন নস্কর৷ কিন্তু, তার পর পরই কেন তিনি হস্টেল ছাড়েন সুমনের সামনে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তদন্তকারীরা৷ সূত্রের খবর, তখন সে জানিয়েছিল, ঘটনার পরে প্রাক্তনীদের হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ সেই কারণে তিনি হস্টেল ছেড়ে চলে যান৷ তাঁর দাবি, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ৷