ডায়েরির পাতায় লেখা চিঠির হাতের লেখা ও তিন অভিযুক্তর লেখা পরীক্ষা করে দেখতে চাইছে তদন্তকারী অফিসাররা। পাশাপাশি যাদবপুরের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত কিনা, এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্তত তদন্তে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মনে করা হচ্ছে, মৃত ছাত্রকে হেনস্থার বিষয়ে অভিযুক্তরা আগেই ঠিক করে রেখেছিল। কী ভাবে হেনস্থা করা হবে? তা নিয়ে মোবাইলে চ্যাটে বা ফোনে কথোপকথন হওয়ার আশঙ্কাও করছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, বহু চ্যাট হিস্ট্রি ডিলিট কি সেকারণেই? এই সব সূত্র ঘিরেই এগোচ্ছে তদন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন : জলের রঙ কী….? ‘বিশুদ্ধ’ পানীয় জল ঠিক কী রঙের হয় বলুন তো? এই রইল উত্তর!
প্রসঙ্গত, গত শনিবারই মৃত ছাত্রের একটি ডায়েরি হস্টেলের ঘর থেকে পান তদন্তকারীরা৷ সেই ডায়েরিতে লেখা চিঠি ঘিরে শুরু হয় জল্পনা৷ চিঠিটির গোটাটাই টানা এক ভাবে লেখা হলেও তারিখের জায়গায় ডাবল রাইটিং পাওয়া গিয়েছে৷ তারিখের জায়গায় লেখা রয়েছে ১০ অগাস্ট৷ অভিযোগ, ৯ অগাস্টের উপরে নতুন করে ১০ আগস্ট করা হয়েছে সেখানে৷
আরও পড়ুন : ‘এই’ ৩ কারণে শিশুদেরও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক…! কী ভাবে এড়াবেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত
কিন্তু, গত ৯ অগাস্টই যাদবপুরের মেন হস্টেলের নীচে নগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ওই ছাত্রটিকে৷ পরের দিন ভোরেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, যে ৯ অগাস্ট ঘটনা ঘটলে, চিঠির তারিখ কেন ১০ অগাস্ট করা হয়েছিল৷ তাহলে কি অভিযুক্ত ছাত্রেরাই তথ্যপ্রমাণ হেরফের করার চেষ্টা করেছিলেন? এই সূত্রই উদ্ধারের চেষ্টায় ফরেনসিক করতে সচেষ্ট পুলিশ।