বর্তমানে প্রেক্ষাপটে প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন। প্রত্যেকেই সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পরিস্থিতি ভোটের বাজারেও সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও বিকল্প নেই। আর সোশ্যাল মিডিয়ার গোটা প্রাঙ্গনের অধিকাংশটাই কার্যত বিজেপির দখলে। সেই প্রবণতা এবার পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি বা ভিন রাজ্যে সংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি বিজেপির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া যুদ্ধতেও সেয়ানে-সেয়ানে থাকতে চাইছে এ রাজ্যের শাসক দল। সেই সূত্রেই এবার কু-তেও অ্যাকাউন্ট খুলল জোড়াফুল শিবির।
advertisement
তৃণমূলের এই নতুন পথ চলাকে স্বাগত জানিয়ে কু-এর সিইও অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ বলেন, 'আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে স্বাগত জানাচ্ছি। কু অ্যাপের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের কর্মসূচি, বক্তব্য আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারবে। অল্প সময়ের মধ্যেই কু দশ মিলিয়ন ডাউনলোড হয়েছে, আমরা আরও দ্রুত বহু মানুষকে আমাদের অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করতে পারব।'
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়াতে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরাও প্রবল সক্রিয়। বিশেষত ফেসবুক, ট্যুইটারে প্রবল সক্রিয়তা রয়েছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে এবার কু-তেও তৃণমূল নেতাদের যে সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাবে, তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বহু মানুষ 'কু' অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। আত্মনির্ভর ভারতের একটি অংশ হিসেবেই ধরা হচ্ছে এই অ্যাপকে।
আসলে টুইটারের মতোই 'কু' একটি মাইক্রোব্লগিং অ্যাপ। টুইটারের মতোই কু-তেও নিজের বক্তব্য লেখা যায়। সিইও অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ এই অ্যাপটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ২০২০ -র মার্চ মাসে 'কু' চালু হয়েছিল দেশে এবং এটি ডিজিটাল ইন্ডিয়ার আত্মনির্ভর ভারত উদ্ভাবনী চ্যালেঞ্জ জিতেছে, যা ভারতের সেরা অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে একটি। অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরির পিছনের মূল কারণ ছিল, ভারতীয়রা তাঁদের স্থানীয় ভাষায় তাদের মতামত এখানে জানাতে পারবেন।