মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব মানুষকে সম্মান, শ্রদ্ধা করি, ভালবাসি। আমরা যদি সব ভাষাকে সম্মান করতে পারি তবে আমার মাতৃভাষাকে অসম্মান করার অধিকার কারও নেই। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনেন গান্ধীজির প্রসঙ্গ। তাঁর কথায় স্বাধীনতার জন্ম দেয় বাংলা। নবজাগরণের জন্ম দেয় বাংলা। গান্ধীজি গুজরাতে জন্মালেও তিনি পড়ে থাকেন বাংলায়। গান্ধীজি আজ তোমাদের নেতা নেই। গান্ধীজিকে পায়ের তলায় ফেলে দিয়েছে।’
advertisement
আরও পড়ুনঃ মহালয়ার আগেই দুর্গাপূজার উদ্বোধন শুরু মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা
বাংলার মানুষকে প্রকাশ্যে অসম্মান করে যে বিভেদের রাজনীতি শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুন নিজের গায়েও লাগে। দেশটা একবার ভাগ হয়ে গেলে আর ঐকবদ্ধ করা যাবে না। কাজেই এটা যেন ভাঙার খেলা না হয়, গড়ার খেলা হয়। আমাদের এখানে যে এক কোটি শ্রমিক কাজ করে তাদের কারও গায়ে যাতে হাত না পড়ে, সেই নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।’ তবে বাংলার শ্রমিকদের দায়িত্ব যে বাংলার তৃণমূল সরকার নিতে সক্ষম, তা স্পষ্ট করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘বাংলার শ্রমিকদের প্রতিভার জন্য তাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ২৪ হাজার শ্রমিক ফিরে এসেছে। তার মধ্যে ১০ হাজার শ্রমিককে পাটের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে পাটশিল্পে কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদের মাসিক ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের কর্মশ্রী প্রকল্পে কাজ দেব। এবং তাদের স্কিল প্রশিক্ষণ দিয়ে দেওয়া হবে। তারা ব্যবসা করতে চাইলে ঋণ দেওয়া হবে।’