"এতো চিটফান্ডের সাধারণ মামলা নয়, তাহলে এমন মামলা পিছনো কেন?" এরপরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল সাফ জানিয়ে দেন বুধবার মামলার শুনানি হবে। ২০১৩ এপ্রিল মাসে উত্তর ভারত থেকে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে গ্রেফতার হন দেবযানী মুখোপাধ্যায়। এর আগে বিনয় মিশ্রের মামলা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কয়েকটি মামলাতেও সিবিআই মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে। দেবযানীর আইনজীবীরা এদিন আদালতে বলেন, ২০১৩ সালে গ্রেফতার হন দেবযানী। এখনও পর্যন্ত ট্রায়াল' শুরু হয়নি। অথচ এই মামলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্তরা বহু আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। দেবযানী ছিলেন ওই সংস্থার একজন জুনিয়র এক্সিকিউটিভ। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পান।
advertisement
সারদা চিটফান্ড সিবিআই মামলা সহ ১২০ বেশি মামলায় অভিযুক্ত দেবযানী। অধিকাংশ মামলাতেই জামিন মিলেছে তাঁর। সিবিআই রেগুলার কেস নাম্বার ০৪, এতেও জামিন পেয়েছে দেবযানী। তবে রেগুলার কেস নাম্বার ০৬, মূলত সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস মামলায় জামিন এখনও পায়নি দেবযানী ও সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। একই মামলায় জামিন পেয়ে গেছেন কুনাল ঘোষ। সারদা মামলায় জামিন পেলে জেলমুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন দেবযানী। সারদা চিটফান্ডে ৭০০-৮০০ কোটি টাকা ফেরতের দাবি নিয়ে হাইকোর্টেই আলাদা মামলা করেছেন আমানতকারীরা। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক প্রভাবশালী বলে অভিযুক্তরাও জামিন পেয়েছেন সারদা মামলায়। মঙ্গলবার মামলা পিছোতে এএসজি যুক্তি ছিলো, ডিসেম্বর ২০২০ এক পেনড্রাইভে মেলা কণ্ঠস্বর পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা ছিলো। কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে সারদা তদন্তকারী অফিসার এই মুহূর্তে সময় চাওয়া। সিবিআই এমন যুক্তির পাল্টা দেবযানীর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ও জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘ বারবার নানা অজুহাতে সিবিআই মামলাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। আমরা আদালতের ওপর আস্থা রাখছি।’’
ARNAB HAZRA