জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে টুইট করে ‘স্বজনপোষণের অভিযোগ’ করেছিলেন মহুয়া। আর ধনখড় পাল্টা ট্যুইটে লেখেন, 'মহুয়া মৈত্র টুইট করে ৬ জন ওএসডি-র নিয়োগ ঘিরে স্বজনপোষণের যে অভিযোগ তুলেছেন, তা তথ্যগতভাবে সম্পূর্ণ ভুল। যাঁরা ওএসডি আছেন, তাঁরা তিনটি আলাদা রাজ্যের বাসিন্দা। ৪ ভিন্ন বর্ণের তাঁরা। আর তাঁদের কেউ আমার কোন নিকট আত্মীয় নন। এমনকী ৪ জন তো আমার রাজ্যের বাসিন্দাও নন, এমনকি আমার বর্ণেরও নন।'
advertisement
শুধু তাই নয়, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা স্বজনপোষনের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের আক্রমণ শানিয়েছেন ধনখড়। মমতাকে ট্যাগ করে অপর একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, 'রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আর সেই পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের মানুষের জন্য আমার যা কাজ, তা আমি করে যাব।'
যদিও রাজ্যপালকে পাল্টা 'আঘাত' হানতে দেরি করেননি তৃণমূলের দাপুটে সাংসদ মহুয়া। ধনখড়ের ট্যুইটের পরই ফের তিনি রাজভবনের 'ওএসডি'দের নাম সহ যাবতীয় তথ্যের তালিকা দিয়ে রাজ্যপালকে ফের আঙ্কেলজি সম্বোধন করে ট্যুইটারে লেখেন, 'রাজভবনে যাঁদের ওএসডি নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের অতীত পরিচয় কী, সেটা আপনাকে জানাতে অনুরোধ করছি। কী ভাবে ওই ৬ জনকে রাজভবনে নিয়োগ করা হল, তাও জানাতে অনুরোধ রইল।' এরপরই বিজেপির আইটি সেলের প্রসঙ্গ এনে মহুয়া লেখেন, 'বিজেপি-র আইটি সেল এখান থেকে আপনাকে আর বের করে আনতে পারবে না। দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদও মনে হয় অধরা থেকে গেল আপনার।'
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল লেখেন, "রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক ৷ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুতরভাবে আপোস করা হচ্ছে ৷ এই কঠিন সময়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আমাকে জানানোর জন্য সোমবার ৭ জুন মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছি ৷" এরপরই ট্যুইটারে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষনের বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন মহুয়া মৈত্র।
