#কলকাতা: সাধারণের জন্য এবার খুলে যাবে ফোর্ট উইলিয়ামের দরজা। সপ্তাহে একদিন রবিবার। যার পোশাকি নাম হবে "হেরিটেজ ওয়াক"।ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে বিজয় স্মারক অবশ্য রবিবার ছুটির দিনে বিকেলে খোলা থাকবে সাধারণের দর্শনের জন্য।
ফোর্ট উইলিয়াম এর ভেতরটা কেমন এখন এবার দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ। হেরিটেজ ওয়াক এর নামে ফোর্ট উইলিয়াম দর্শন। ফেব্রুয়ারি থেকে সাধারণের জন্য শুধুমাত্র রবিবার খুলে যাবে ফোর্ট উইলিয়ামের দরজা। ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে বিজয় স্মারক প্রতি রবিবার ও ছুটির দিনে বেলা আড়াইটা থেকে ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সাধারণের জন্য।
advertisement
আর্মি দিবসে বিজয় স্মারকে এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে একথা বলেন ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লেফটেনেন্ট জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি বলেন, ফোর্ট উইলিয়াম এর ভেতরে ভারতীয় সেনার ইস্টান কমান্ডের সদর দপ্তর। এখানে ভারতীয় সেনার বহু পুরনো স্মারক রয়েছে। রয়েছে সেনাবাহিনীর মিউজিয়াম সহ নানা দ্রষ্টব্য বিষয়। এসব দেখার জন্য কলকাতা তো বটেই দেশের মানুষের কৌতূহল রয়েছে। সে কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত।
আপাতত ঠিক হয়েছে ফেব্রুয়ারি ২ তারিখ রবিবার শুরু হবে সাধারণের জন্য হেরিটেজ ওয়াক। এখনো নির্দিষ্ট করে সময় বা কিভাবে এই এইচএস ওয়াক হবে তা ঠিক করে উঠতে পারেনি আর্মি কর্তৃপক্ষ। টিকিট হবে কিনা বা হলে কিভাবে সেই টিকিট মিলবে তাও জানা যায়নি। তবে বিজয় স্মারক রবিবার ছুটির দিন বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সাধারণের জন্য।
আর্মি দিবসে জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর কলকাতার কিছু বিশিষ্ট মানুষকে নিয়ে শুরু হয় হেরিটেজ ওয়াক-এর উদ্বোধন। এই প্রথম টোটো গাড়িতে চড়ে ফোর্ট উইলিয়ামে ঘুরলেন বিশিষ্টজনেরা। এই প্রথম ফোর্ট উইলিয়ামের ভেতরে যান হিসেবে টোটোর ব্যবহার হল। আটটি টোটোতে চড়ে হেরিটেজ ওয়াকে যান বিশিষ্টজনেরা। ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ নানা বিশিষ্টজনেরা।
ব্রিটিশ ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬৯৬ সালে এই ফোর্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। জন গোল্ডসবরো র নির্দেশে স্যার চার্লস এরে ফোর্ট এর কাজ শুরু করেন। ১৭০০ সালে এই ফোর্টটির নাম হয় রাজা কিং উইলিয়ামের নাম অনুসারে ফোর্ট উইলিয়াম। ১৭৫৬ সালে এই দুর্গ দখল করেন সিরাজৌদুল্লাহ। নাম দেন আলিনগর। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজকে হারিয়ে রবার্ট ক্লাইভ অবশ্য পুনর্দখল করেন ফোর্ট উইলিয়াম। ১৭৫৮ সালে পুনর্নির্মাণ হয় ফোর্ট উইলিয়ামের। এরকমই নানা ইতিহাসের সাক্ষী এই ফোর্ট উইলিয়াম।
আর্মি দিবসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আগের থেকে অনেক স্থিতিশীল। তাই অনেক ক্ষেত্রেই সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। লাইন অফ কন্ট্রোলে শান্তি বজায় রাখতে যা করণীয় আগামী দিনে ভারতীয় সেনা তাই করবে।