মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এছাড়া ১৩ জনের মেয়র পরিষদ।
*ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
*মেয়র পরিষদ : দেবব্রত মজুমদার, দেবাশীষ কুমার, তারক সিং, স্বপন সমাদ্দার, আমিরউদ্দিন ববি, রাম পেয়ারে রাম, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়,
নতুন মেয়র পরিষদ হলেন,
সন্দীপন সাহা(৫৮), জীবন সাহা(৫৭), মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়(৯৯) ও সন্দীপ বক্সী(৭২)।
এরমধ্যে মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায় 2010 সালে মেয়র পরিষদ শিক্ষা ছিলেন।
advertisement
এদিন ওই বৈঠকের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''১৩৪ জনকেই অভিনন্দন। বিরোধীদের যারা জিতেছে, তাদেরও স্বাগত জানাচ্ছি। এই জয় তৃণমূলের নয়, তৃণমূলের সম্পর্ক মাটির সঙ্গে। অনেক অপপ্রচার হয়েছে, তবু সাধারণ মানুষ বিশ্বাস রেখেছেন, জাতিধর্ম ভেদে সকলে আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন। তাঁদেরই জয় উৎসর্গ করছি। এবার কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। দশ বছরের থেকেও বেশি কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেয়র সেই ফিরহাদ, চেয়ারম্যান মালা রায়! কলকাতায় পুরনোতেই আস্থা মমতার
এবার বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও মহিলাদের উপর বিশেষ নজর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সূত্রেই ১৬ বরোর মধ্যে ৯টি বরোর চেয়ারম্যান হয়েছেন মহিলা কাউন্সিলররা। সেই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''১৬ বরোর মধ্যে ৯ বরো চেয়ারম্যান মহিলারা। খুব ভালো কাজ করুন। পুজা (পাঁজা), বসুন্ধরার (গোস্বামী) মতো বাচ্চা মেয়েরা জিতে এসেছে। আমি খুশি। সন্দীপন, রাণারা ইঞ্জিনিয়ারের কাজ ছেড়ে আসছে দলে। আমি চাই প্রতিযোগিতা হোক। নিজেদের ভালো কাজের মধ্যে প্রতিযোগিতা করুন।''
আরও পড়ুন: ভোট-ভরাডুবি নাকি রাজ্য কমিটির 'ক্ষত', দিলীপ-সুকান্তদের দিল্লি-সফরে তুঙ্গে জল্পনা
নতুন কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ বার্তা, ''হাতে ৫ বছর আছে বলে, কাজ ফেলে রাখা যাবে না। প্রতি ছয় মাসে রিপোর্ট কার্ড দিতে হবে৷ কাজ না পারলে দল ও সরকার দেখবে৷ কথা কম বলে কাজ হবে। শুধু বিবৃতি দিয়ে দলের ক্ষতি করা যাবে না। বিজেপি-সিপিএমের মতো হবে না। প্রকৃত লোক যাতে কাজ পায় সেটা দেখতে হবে। সব কাজ এখন অনলাইনে হচ্ছে। পরিষেবার জন্য মানুষ যেন হ্যারাসমেন্ট না হয়।''