মঙ্গলবার রাত তখন প্রায় দশটা। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে গড়ফার রামলাল বাজার এলাকায় পাড়ার লোকজনের মধ্যে প্রসাদ বিলি হচ্ছিল। সেই সময় পাশের পাড়া থেকে একটি পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। অভিযোগ, সেই শোভাযাত্রা থেকে কয়েকজন মদ্যপ যুবক ওই পাড়ার মণ্ডপে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। চেয়ার-টেবিল ছুড়ে ফেলে দেয়। প্রসাদও এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়। এই দেখে ইটিভি নিউজ বাংলার চিত্র সাংবাদিক অসিত দাস প্রতিবাদ করেন। তখনই তাঁর ওপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অসিত দাসকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
advertisement
অসিতকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী, দাদা। তাঁদেরকেও কিল, চড়, ঘুসি হয়। এমনকী রেহাই মেলেনি অসিতের বৃদ্ধ বাবারও। হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল বলেও অভিযোগ।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, অন্য জায়গায় হামলা চালিয়ে এখানে আসে দুষ্কৃতীরা। কেউ কিছু বললেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে।
সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। খবর পেয়ে ১০৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ মণ্ডল ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাতে থাকেন স্থানীয়রা। অসিতের পরিবারের সদস্যরাও ক্ষোভ উগরে দেন। চাপে পড়ে ব্যবস্থার আশ্বাস দেন কাউন্সিলর।
হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ভূতো, কালু, গৌতম, তন্ময়-সহ বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর। গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
