কমিশন অবশ্য জানিয়ে দিল, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরেই চলতে পারে৷ এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই৷ এমন কোনও আইন নেই যে নির্বাচন ঘোষণা করলে তবেই কমিশনের ক্ষমতা থাকবে।
প্রসঙ্গত, ভুয়ো ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় তুলে দেওয়ার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় নির্বাচনের কাজে যুক্ত চার জন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার জন্য গতকালই মুখ্যসচিবকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন৷ শুধু তাই নয়, ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়েরের জন্যও রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷
advertisement
যদিও গতকাল রাতেই নবান্নের পক্ষ থেকে কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও এফআইআর করবে না৷ এ দিন একই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও৷
এ দিন কমিশনের পক্ষ থেকে পাল্টা জানানো হয়েছে, ‘যখন ভোটার তালিকা সংযোজন বা সংশোধনের কাজ হয় তখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থেকেই কাজ করতে হয়। তার দায়বদ্ধতা নির্বাচন কমিশনের উপরে থাকে। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারায় ভোটার তালিকা তৈরি করা ও নির্বাচন সংগঠিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। ৩২৪(৬) ধারা অনুযায়ী সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য। কমিশনকে জবাব দিতে বাধ্য মুখ্যসচিব। এক্ষেত্রে মুখ্যসচিবের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে অথবা কোনও ব্যাখ্যা না পেলে তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন।’
এ দিন ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে৷ আমার অফিসারদের নোটিশ পাঠিয়েছে, বলছে সাসপেন্ড করতে। আমি কোনও ব্যবস্থা নিতে দেব না। তুমি অফিসার, পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছো। কেউ ভয় পাবেন না, আপনাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের৷ প্রাণ দিয়ে হলেও আপনাদের রক্ষা করব৷’
নির্বাচন ঘোষণা না হলেও কী করে নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারকে এই ধরনের নির্দেশ দিচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও নির্বাচনের সাত-আট মাস দেরি আছে৷ এখন থেকেই সাসপেন্ড করতে শুরু করেছে৷ বিজেপি-র ক্রীতদাস সব৷’