পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘বিগত ৩০ বছরের ইতিহাসে এমন আবহাওয়া আমরা দেখিনি ৷ শব্দ দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত না থাকলেও, বায়ু দূষণের মাত্রা একেবারেই ছিল নিয়ন্ত্রিত। এতে আমাদের পরিবেশ সুরক্ষিত থাকল।’’
তাঁর মতে, সিত্রাংয়ের আশীর্বাদ। ৩০ বছরের ইতিহাসে বায়ু দূষণ কম কলকাতায়। বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ও বড় ধূলিকণা অনেক কম। দূষণের মাত্রা গত বারের তুলনায় কম প্রায় ৪০%। বৃষ্টির কারণে কলকাতায় কমল বায়ু দূষণের মাত্রা। চলতি বছরে রাত ১০টায় ফোর্ট উইলিয়ামের মাপ বলছে দূ্ষণের মাত্রা ৪৯ এমজি। যা গতবার ছিল ১৯৪ এমজি। বিধাননগর অঞ্চলে গতবার বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ২২৯ এমজি। এবার সেই মাত্রা হয়েছে ৩৯ এমজি। বালিগঞ্জে কালীপুজোর রাতে দূষিত ধূলিকণার মাত্রা ছিল ৫৩ এমজি। যা গতবার ছিল ১৯০ এমজি। অর্থাৎ গড়ে বাতাসে দূষণের মাত্রা গতবারের চেয়ে প্রায় ৬০% কম ছিল।
advertisement
আর এতেই খুশি পরিবেশবিদরা ৷ তবে তাদের আশঙ্কা আজ, মঙ্গলবার থেকেই আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূল হয়ে যাবে। ঝড় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই ৷
আরও পড়ুন- শক্তি কমে গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সিত্রাংয়ের তাণ্ডব শুধুমাত্র বাংলাদেশেই
এই অবস্থায় আজ যদি বাজি ফাটানোর ও পোড়ানোর মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে ফের মহানগরে বায়ু দূ্ষণের মাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে দূষণ রোধে কালীপুজোয় শহর পাস করলেও, আজ কী হয় সেদিকেই নজর পরিবেশবিদদের। তবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মতে, যে ভাবে চারিদিকে প্রচার চলছে, মানুষ নিজে থেকেও অনেক সচেতন হয়েছেন। এ ছাড়া সবুজ বাজি প্রচুর বিক্রি হয়েছে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। আজ কী হয়, নজর সকলের সেদিকেই।