স্কুলের পোশাকে বিশ্ব বাংলা লোগো লাগানো নিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পয়সায় প্রকল্প চালানো হচ্ছে আর পার্টির প্রচার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প যারা পেয়েছেন, সেই পরিবারকেও প্রচারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছিলেন। এটা সরকারি পয়সায় পার্টির প্রচারের একটা উদাহরণ তৃণমূল করে দেখাচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়েও রাজনীতির প্রচার করানো হচ্ছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি-র সমন ও তাঁর পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ''মাথা উঁচু করে জেলে যান উনি। যাদের আপাতমস্তক দুর্নীতির কালি লেগে আছে, কোন কিছু বাদ নেই, তাদের মুখে বড়বড় কথা সাজে না।''
advertisement
কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় দেরিতে ফরেন্সিক পৌঁছানো নিয়েও দিলীপ ঘোষ বলেন, ''বিরোধী শূন্য যে রাজনীতি শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এসব তারই উদাহরণ। বিরোধীদের জন্য কোন তদন্ত হয় না। আমাদের দুশোর বেশি কর্মকর্তা মারা গিয়েছেন, তাদের নিয়ে কোন তদন্ত হয়নি, কেউ গ্রেফতার হয়নি, কেউ সাজা পায়নি। সরকার পুলিশকেও রাজনীতির প্রচারে লাগাচ্ছে। প্রশাসনের সমস্ত যন্ত্রকে পার্টির রাজনীতিতে লাগাচ্ছে। বিরোধীদের কোন সুরক্ষা নেই, সন্মান নেই। এই ব্যবহার থেকে বোঝা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজই তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি, সরাসরি না হলেও বাংলাতেও বড় প্রভাব! কী হতে চলেছে?
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে রাজ্যের নিরাপত্তা দেওয়া নিয়েও দিলীপ ঘোষ বলেন, ''আগে দেওয়া উচিত ছিল। আগে দেয়নি, যখন প্রাণঘাতী আক্রমণ হয়েছে, তখন দিয়েছে। এটা লোক দেখানো। রাজ্য সরকারের ওপর আমাদের ভরসা নেই। তাই আমরা বারবার কেন্দ্র সরকারের কাছে বলেছি আর তারাই আমাদের কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দিয়েছে।''
আরও পড়ুন: কেমন হতে চলেছে রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক? জারি হয়ে গেল বিজ্ঞপ্তি!
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘর্ষ নিয়েও দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ববি হাকিম বলে দিয়েছেন, দু-একটা গন্ডগোল হবেই। পুলিশ না হলে কী কাজ করবে! পুলিশের কাজ এত বেশি, টিএমসি-র ঝগড়া মেটানো, তাদের নেতাদের সুরক্ষা দেওয়া, টিএমসি-র নেতাদের ভোট জিতিয়ে দেওয়া- এই সমস্ত করতে গিয়ে পুলিশ ব্যস্ত। আর সমস্ত দুষ্কৃতীদের পার্টিতে ঢুকিয়ে দিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এরাই পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করে রেখেছে এবং মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে রেখেছে।''