নির্মিতব্য প্রতিটি ভেসেল হবে ৬৪ মিটার দীর্ঘ ও ১২ মিটার প্রশস্ত। এই জাহাজগুলির ওজন হবে প্রায় ৪৫০ ডেডওয়েট টন এবং সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০ নট। সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত সমুদ্রে অবস্থান করতে পারবে। প্রত্যেকটি জাহাজে থাকবে ৩৫ জনের আবাসন ব্যবস্থা, সঙ্গে থাকবে অত্যাধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা ল্যাব, ভূতাত্ত্বিক মানচিত্রায়নের যন্ত্র, খনিজ অনুসন্ধান ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ভেসেলগুলো ডিজেল-ইলেকট্রিক প্রপালশন সিস্টেমে চালিত হবে এবং Dynamic Positioning System যুক্ত থাকবে, যার ফলে নির্দিষ্ট অবস্থানে স্থির থেকে সমুদ্রতলের গবেষণা করা সম্ভব হবে।
advertisement
Geological Survey of India জানিয়েছে, এই জাহাজগুলি দেশের Exclusive Economic Zone (EEZ)-এর ৫ মিটার থেকে ১০০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত উপকূলবর্তী অঞ্চলে কাজ করবে। বিশেষত, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের নীচে থাকা খনিজ ও ভূতাত্ত্বিক সম্পদের হদিস পাওয়া যাবে এই আধুনিক জাহাজগুলির সাহায্যে। GRSE ইতিপূর্বে বহু সামরিক ও বৈজ্ঞানিক ভেসেল নির্মাণে সুনাম অর্জন করেছে। বিশেষ করে IN Sagardhwani (1994) এবং Indian Navy-এর Sandhayak-শ্রেণির ৬টি সার্ভে ভেসেল তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। বর্তমানে তারা একটি নতুন Oceanographic Research Vessel এবং Acoustic Research Ship নির্মাণে যুক্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি শুধু GSI-এর বৈজ্ঞানিক মিশনকে গতি দেবে না, বরং পশ্চিমবঙ্গের জাহাজ নির্মাণ শিল্প, প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও ‘Make in India’ প্রকল্পের অগ্রগতিকেও বড়ভাবে চিহ্নিত করবে।