অতীতেও রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজনীতি করণ নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় গৈরিকীকরণ হচ্ছে বলে ও মন্তব্য করেছেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেই এর জন্য দায়ী ও করে এসেছেন সম্প্রতি বীরভূম সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু বিশ্বভারতী নয় রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনা নিয়েও একাধিকবার রাজনীতি করণ নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে বিরোধী দলগুলিকে।প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর এর সময়ও রাজনীতি করণ নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে বিরোধীদলকে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রী কে নিয়ে আসার বিল পেশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। সেই বিল পাসও হয়েছে বিধানসভায় যা এখন রাজ্যপালেরই অনুমোদনের অপেক্ষায়।
advertisement
আরও পড়ুন: 'যোগ্য নেতা এই সম্মান পেলেন', মমতার হাতে ডি লিট তুলে দিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্যপাল
সম্প্রতি এই বিষয় নিয়েও সরব হতে দেখা গেছিল একাধিক রাজনৈতিক দলকে। সেই সময় শিক্ষায় রাজনীতিকরন হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী দলগুলোর তরফে। কিন্তু এদিনের রাজ্যপালের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সম্প্রতি উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয় উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন সার্চ কমিটিতে থাকা শিক্ষাবিদদের সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: 'ক্যামাক স্ট্রিটের দরজায়' আরও ১৩ বিজেপি বিধায়ক? শুভেন্দুকেই হুঁশিয়ারি তৃণমূল মুখপাত্র সুদীপের
উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল। আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার বিল যেহেতু অনুমোদন এখনো হয়নি তাই রাজ্যপালই এখনো বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য পদেই রয়েছেন। আর তাই এই মন্তব্য কে ঘিরে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।