খুচরোর আকাল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল এশিয়ার সবচেয়ে বড় মাছের আড়ত ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্রবাজার। প্রায় দু হাজার শ্রমিকের রুজিরুটু হয়ে পড়ল অনিশ্চিত। আড়ত খোলার দাবিতে আজ বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা।
আড়ত মালিকদের দাবি, খুচরো ও পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা তাঁদের কাছ থেকে মাছ কিনতে আসছেন না। যাঁরা আসছেন তাঁরা পাঁচশো, হাজার টাকার নোট দিচ্ছেন। যে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে মাছ কেনেন আড়ত মালিকরা, তাঁরাও এই নোট নিতে রাজি নন। বিপাকে পড়ে মাছের আড়ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন আড়তদাররা।
advertisement
হাওড়া ব্রিজের পাশের এই বাজার থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ যায়। এই বাজারে পঞ্চাশ শতাংশ আমদানি কমেছে। কমেছে বিক্রিও। বাজারে প্রতিদিন প্রায় হাজার টন মাছ আসে। পাঁচশো, হাজারের নোট বাতিলের পর থেকে মাছের জোগান কমেছে। আজ মাছ এসেছে মাত্র সাতশো টন। পাইকারী থেকে খুচরো ব্যবসায়ী, পুরোপুরি ধারে চলছে বেচা-কেনা। এর ফলে মাছের দাম ভয়ানক বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
কোলে মার্কেট
এই পাইকারী বাজারে নিয়মিত ষোল সতেরো লরি সব্জি আসে। এখন আসছে মাত্র আট-নয় লরি। পুরনো নোট বাতিল। নতুন নোটের সংখ্যা হাতে গোনা। খুচরো ব্যবসায়ীরা সবজি না কেনায় তা নষ্ট হচ্ছে বাজারেই। এরকম চললে খুব তাড়াতাড়িই শহরের সব খুচরো বাজারেই বেড়ে যাবে সব্জির দাম।
পোস্তা বাজার
নোটের গেরোয় সীমান্তে আটকে লরি। তাই ব্যস্ত পোস্তা বাজারে অলস দুপুরের ছবি। মনে হতেই পারে কোনও বনধের দুপুরে একটু নিশ্চিন্তে ঘুমচ্ছেন মুটে মজুররা। কিন্তু না, ব্যবসায়ীদের দাবি, এই অবস্থায় প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে কমপক্ষে কয়েক লক্ষ টাকার ব্যবসা।
মেছুয়া ফলপট্টি
শহরের সবচেয়ে বড় ফলের বাজার মেছুয়া ফলপট্টিও ফাঁকা। দিন কয়েক নেই ক্রেতা। আমদানিও বন্ধ। অচল নোটের গেরোয় ব্যবসা বন্ধের মুখে। প্রতিবাদে পথে নামেন ফল ব্যবসায়ীরা।
কদিন পরেই পর্যাপ্ত নোট পকেটে আসবে। তবে এখনকার ছবি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ততদিনে বাজার হয়ে যাবে আগুন। তখন দেখা দেবে হয়রানির অন্য ছবি।