সিপিএম-এর রোগ ধরতে গিয়ে 'ডাক্তার বাবু' সূর্যকান্ত মিশ্র অনুধাবন করেছেন, 'বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ও বিজেপিকে এক পংক্তিতে ফেলা হয়েছিল। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংযোগের অভিযোগ করে বিজেমূল স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছিল। বিজেপির সঙ্গে অন্য কোনও দলকে এক করে দেখা উচিত হয়নি, কিন্তু আমরা তাই করেছিলাম। ফলে কে বড় শক্রু তা নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছিল। ফলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে আমাদের নিয়ে।'
advertisement
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের স্বীকারোক্তি, 'সোশ্যাল মিডিয়া-সহ নানান জায়গায় নো ভোট টু বিজেপির প্রচার শুরু করা হয়েছিল। আগে যোগসাজশ থাকলেও ২০১৯-এর পরে পরিস্থিতির বদল গিয়েছিল। এই সময়ে বিজেপি ও তৃণমূলকে একই পংক্তিতে রেখে আক্রমণ করা সাধারণ মানুষের বড় অংশই মেনে নিতে পারেনি। আর সেই লাভ কুড়িয়েছে তৃণমূল। দুয়ারে সরকারের মতো বিষয়গুলো ছোট করে দেখা হয়েছে। সেটা ঠিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে ব্যান্ডেজও মানুষের সহানুভূতি পেয়েছে। আগে রাম, পরে বাম বিজেপির তৈরি করা প্রচার। সেই প্রচার তারা করেছে। কিন্তু ধরা যায়নি, বরং এতে আমাদের দলেরই একাংশ প্রভাবিত হয়েছে। দিদিকে বলো কর্মসূচি কিংবা দুয়ারে সরকারের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা অনেকাংশে সামাল দিয়েছিল।'
তবে, এখনও যে বেশ কিছু জায়গায় তিনি তৃণমূল বিজেপিকে একই আসনে ফেলেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সূর্যকান্ত। তাঁর কথায়, 'বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সব থেকে বড় মিল হল, দুই দলই কমিউনিস্ট বিরোধী।' যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সাফ বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপিই তাঁদের কাছে প্রধান শত্রু। বিজেপির বিরুদ্ধে সিপিএম তথা বামেদের লড়াই আরও তীব্র হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।