কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টে ক্লিনচিট বঙ্গ সিপিএমের পক্ষে স্বস্তিজনক। কারণ ভিতরে বাইরে এই জোট নিয়ে সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে। এমনকী বামেদের ছোট শরিকরাও ছেড়ে কথা বলেনি। দিন কয়েক আগে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে আইএসএফ এবং কংগ্রেসকে সিপিএমের ক্রাচ বলা হয়েছিল। দলীয় বৈঠকে ও বারবার এই জোট নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন জেলা নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মরিয়া আলিমুদ্দিন দিল্লিকে বোঝাতে চাইছিল কেন সংযুক্ত মোর্চা তৈরি করা হয়েছিল। ভয় ছিল অতীত নিয়ে, কারণ বছর পাঁচেক আগে এ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে উষ্মাই প্রকাশ করেছিল দিল্লি। তবে এদিন একেজি ভবন এই নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিতে সায় দেওয়ায় যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল সিপিএম-এর।
advertisement
উল্লেখ্য তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক চলছে। সমস্ত রাজ্য থেকে নেতারা ভার্চুয়াল ভাবেই জয়েন করেছেন এই বৈঠকে। বৈঠকের প্রথম দিনে অন্যান্য রাজ্যের নেতারা একরকম কোণঠাসা করছিলেন রাজ্য সিপিএমকে। তেলেঙ্গানা কেরালা তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিরা রাখঢাক না রেখেই বলেন রাজ্যে সিপিএম শূন্য হয়েছে জোটের কারণেই। রাজ্য সিপিএম অবশ্য পাল্টা বলে ধর্মনিরপেক্ষ সমস্ত শক্তিকে এক করে লড়ার কথা ২০১৮ সালের পার্টি কংগ্রেসেই বলা হয়েছিল। সেই দাবিতে শিলমোহরই পড়ল শনিবার। আজ রবিবার বৈঠকের শেষ দিন, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা উঠে আসতে চলেছে।
