সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে আইনজীবী মারফত সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে সুকন্যার দাবি, তার বন্ধুর চিকিৎসার জন্য তিনি এখন চেন্নাইতে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজেই যোগাযোগ করবেন তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে। শুধু সুকন্যা মণ্ডল নন, তার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের আরও এক ডিরেক্টর অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণকেও নোটিস ইস্যু করে তলব করেছে সিবিআই।
advertisement
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৫ সালের পর থেকে হঠাৎ সুকন্যা মণ্ডলের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। ভোলে বোম চাল কলগুলির মালিকানা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামেই। ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট মিলেছে। সব মিলিয়ে তার আয় ব্যয়ের হিসেব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই। সেপ্টেম্বর মাসেও সুকন্যা মণ্ডলকে সিআইপিসির ৯১ ধারাতে নোটিস ইস্যু করে তার সংস্থার যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু ওই সময় নিজের অসুস্থতার কারণে সময় চেয়েছিলেন তিনি, বলে দাবি সিবিআইয়ের। পরবর্তীতে আইনজীবী মারফত নথি পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন : ক্রস প্যাসেজেই কি মরণফাঁদ? চিন্তায় নির্মাণকারী সংস্থার প্রযুক্তিবিদরা
কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সেই নথির মধ্যে অনেক বিষয় নেই। তাই ফের নোটিস ইস্যু করে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সুকন্যাকে। ইতিমধ্যে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। তাতে অনুব্রতর সাথে তার মেয়ে সুকন্যার সম্পত্তি ও ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। প্রসঙ্গত শুধু সিবিআই নয়, গরু পাচার মামলায় আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে তলব করা হয়েছে সুকন্যা মণ্ডলকে। এখন দেখার ইডিতে হাজিরা দেন কি না অনুব্রত কন্যা।