আরও পড়ুনঃ নয়ডা নয়, বিভাস অধিকারীর প্রতারণা চক্রের বীজ বপন শুরু হয় বাংলার এই জায়গা থেকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য
৯ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত পরিচালিত এই মহড়া বা রুট মার্চে সৈন্যরা ১৭,০০০ ফুট উচ্চতায় খাড়া ঢাল বেয়ে ওঠা, ঝোড়ো বাতাস এবং রুক্ষ অংশ অতিক্রম করে অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং বেঁচে থাকার সরঞ্জাম সহ তাদের সম্পূর্ণ কার্যকর যুদ্ধের বোঝা বহন করে। এই মহড়াটি পূর্ব হিমালয়ের যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির প্রতিলিপি তৈরি করেছিল, সৈন্যদের শারীরিক সহনশীলতা, মানসিক স্থিতিস্থাপকতা এবং দলবদ্ধতার পরীক্ষা সেরে নিল।
advertisement
সেনাবাহিনী ড্রোন, স্মার্ট লজিস্টিকস এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিকীকরণ অব্যাহত রাখলেও, যেখানে প্রযুক্তি সীমিত হতে পারে এমন চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সৈনিক দক্ষতার অপূরণীয় গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন কমান্ডাররা।
ত্রিশক্তি কর্পসের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জুবিন এ. মিনওয়ালা জানিয়েছেন, “প্রযুক্তি আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কিন্তু সৈনিকের সাহস এবং দলবদ্ধতাই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জয়লাভ করে। এই পদযাত্রা কঠোরতম পরিস্থিতিতে লড়াই করার এবং জয়লাভ করার আমাদের ক্ষমতার উপর আস্থা জোরদার করে।”
রুট মার্চ বা মহড়ার সফল সমাপ্তি ত্রিশক্তি যোদ্ধাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং পূর্ব হিমালয়ে ভারতের সীমান্ত রক্ষায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রমাণ রেখেছে।গত সোমবার শহরে এসে ফোর্ট উইলিয়মে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি, বৈঠকে সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ) জেনারেল অনিল চৌহান উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের মাঝেই সিকিমের ১৭ হাজার ফুট উচুতে বিশেষ মহড়া সারলেন সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পসের জওয়ানরা।
সেনা শীর্ষ আধিকারিকরা বলছেন, এই ধরণের মহড়া কঠোরতম পরিস্থিতিতে লড়াই করা এবং জয়লাভ করার ক্ষমতার প্রতি আস্থাকে আরও দৃঢ় করেছে।