একই সঙ্গে জারি থাকবে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। ইন্ডিয়ান কফি হাউস ওয়ার্কার্স কো–অপারেটিভ লিমিটেডের সেক্রেটারি তপন পাহাড়ি বলেন, ‘সরকারি সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে কফি হাউস খোলা হবে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য। এরপর রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গত বছর, প্রথমবার লকডাউনের সময় একদফা বন্ধ হয়েছিল কফি হাউস। লকডাউনের খুলতে সবকিছুর মতো। কফি হাউসের আড্ডা ফিরলেও ছবিতে ফারাক ছিল। চেহারা বেশ খানিকটা বদলে যায়। শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে হবে। তাই কমে গিয়েছিল টেবিলের সংখ্যা। একাধিক মেনু বাদ যায়। সকাল থেকে যেমন খোলা থাকে তেমনই খোলা থাকছিল তা। তবে এবার সকাল নয় বিকাল খোলা থাকবে কফি হাউস। তাও মাত্র তিন ঘণ্টা। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত, খোলা থাকবে কফি হাউস। কেন কফি হাউস খুলছে তার উত্তর রয়েছে রাজ্য ও কলকাতার করোনা অঙ্কে।
advertisement
অন্য দিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে একদিনে ভাইরাস করোনার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৪২৭ জন। তার মধ্যে শুধু মাত্র উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৮১ জন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে সেই উত্তর ২৪ পরগনা। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত দিন একদিনে সংক্রমিত হয়েছিল ১ হাজার ১০৯ জন। তারপরেই রয়েছে তিলোত্তমা। স্বস্তি দিয়ে কমছে কলকাতার সংক্রমণ। সেখানে ৫২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিস মিলেছে, সংক্রমণ রাশই কফি হাউজ খোলার কারণ।
এছাড়া করোনার নিরিখে তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৪১। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ৩০২ ও ২৪৪ জন। করোনা ঠেকাতে গত ১৬ মে থেকে রাজ্যে জারি করা বিধিনিষেধ কাজে আসছে। অনেকটাই নেমে এসেছে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। সঙ্গে স্বস্তি দিয়েছে মৃতের গ্রাফও। গত মাসের প্রথম থেকে যেভাবে চওড়া হচ্ছিল মারণ ভাইরাস করোনার থাবা তা কিছুটা হলেও এখন নিয়ন্ত্রণে। সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭.৪৭ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের করোনাগ্রাফও বেশ খানিকটা নিম্নমুখী। তবে ভয় ধরাচ্ছে দার্জিলিং। সেখানে সংক্রমিত ২৪৮ জন। সবমিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৪৬ জন। স্বাস্থ্য দফতরকে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার সংখ্যা। একদিনে করোনাকে জয় করে হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরেছেন ১২ হাজার ২৯০ জন। দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
-ইনপুট আবীর ঘোষাল।