আরও পড়ুন– দক্ষিণে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না, উত্তরবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া, দেখে নিন
আলোচনায় স্থির হয়েছিল, ইএম বাইপাস লাগোয়া ওই এলাকায় ১৩ সেপ্টেম্বর একটি মহড়া দেওয়া হবে। তার পরে ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর এবং ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর— দু’ধাপে এই ছ’দিনে তৈরি হবে ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ। বাস্তবে দেখা গেল প্রথম দফার কাজ আটকে গেল। কলকাতা মেট্রো রেলের তরফে জানানো হল, তাদের কাজের অনুমতি পুলিশের তরফে পুনরায় নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। তাই তারা শুক্রবার রাতের কাজ করতে পারবে না।
advertisement
কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের (নিউ গড়িয়া–বিমানবন্দর) নির্মাণকাজ ফেব্রুয়ারি থেকে থমকে রয়েছে চিংড়িহাটায়। অরেঞ্জ লাইনের ওই অংশে ৩৬৬ মিটার দীর্ঘ ভায়াডাক্ট তৈরি করা যায়নি কলকাতা মেট্রো এবং রাজ্য সরকার দু’পক্ষই নিজের নিজের অবস্থানে অনড় থাকার জন্য।
তার জন্যই চিংড়িহাটা স্টেশনটি (গৌরকিশোর ঘোষ) তৈরির কাজও শেষ করা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্মাতা সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বার বার মতের অমিল হয়েছে কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য সরকারের অন্য বিভিন্ন দফতরের। সরকারি উদ্যোগে তৈরি গণ পরিবহণ প্রকল্পর কাজ আটকে থাকার অর্থ নাগরিকদেরই ক্ষতি— এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) এসএস কন্নান জানান, কাজ নিয়ে কলকাতা পুলিশের থেকে এখনও ছাড়পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি) মেলেনি। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই মিলবে সেই ছাড়পত্র।
