অতি তৎপরতার মধ্যে শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই পানশালার এক কর্মী জানান, প্রতিদিনের মতও রাত ১টা নাগাদ পানশালা বন্ধ করে কর্মীরা ফিরে যান। ভোর রাতে ফোনে জানতে পারেন পানশালায় আগুন লেগেছে। খবর পেয়েই কর্মীদের অনেকে চলে আসেন ঘটনাস্থলে। এসে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে ভিতরে থাকা লিকারের বোতল সামগ্রী উদ্ধারের কাজ শুরু করেন তারা। ঘটনাস্থলে আসেন দমকলের ডিজি রণবীর কুমার। তিনি জানিয়েছেন, পানশালায় আগুন বলেই দশটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- তাজপুর বন্দরের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, রিপোর্ট দিয়েছিল বিশেষজ্ঞ সংস্থা
ভিতরে ম্যাজেনাইন ফ্লোরে স্টোর রুম ছিল। সেখানে ফরেন লিকার (মদ) মজুত রাখা ছিল, সেই অংশে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান করছে দমকল। তবে ভিতরে কেউ ছিল না বলে জানিয়েছেন ডিজি দমকল। আগুন যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তাই আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বনের জন্য ১০টি ইঞ্জিন আনা হয়েছিল বলে জানান তিনি । কিন্তু পুজোর দিন কয়েক আগে এমন অগ্নিকাণ্ডে ব্যপক ক্ষতি হল বলে দাবি করেন ওই পানশালার এক কর্মকর্তা স্বপন চক্রবর্তী। তবে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা না গেলেও স্টোর রুম পুরো ভষ্মীভূত বলে দাবি করেন তিনি।
আগুন পুরোপুরি নেভার পর ধোঁয়া সাকশন করে বের করে ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন দমকল কর্মীরা। তারপরই শুরু হয় কুলিং প্রসেস। তবে প্রাথমিক অনুমান শক সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। ওই পানশালার এক কর্মী বলেন, সমস্ত কিছুই দেখে রাখা হত। প্রতি নিয়ত চেক করা হত। কিন্তু পুজোর আগে এই আগুন কর্মীদের ক্ষতির মুখে ফেলে গেল বলে দাবি ওই কর্মীর। তবে কী কারণে আগুন, তা খতিয়ে দেখা হবে। করা হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা বলে দাবি দমকলের তরফে।