গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ির উপরে হামলার ঘটনা ঘটে৷ কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গাড়ির উপরে বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভেঙে যায় মন্ত্রীর গাড়ির কাচ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। নিশীথ প্রামাণিক হামলায় আহত হন বলে অভিযোগ করে বিজেপি। ঘটনায় দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন।
advertisement
আরও পড়ুন: জট কাটল পঞ্চায়েত ভোটের, হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট! শুভেন্দুর অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও নির্দেশ
এর পরই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের করা তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়েছিল৷ ওই রিপোর্টে অবশ্য ঘটনার জন্য বিজেপি-র দিকেই আঙুল তোলা হয়৷ বিজেপি-র কর্মী সমর্থকদের উস্কানিতেই গন্ডগোল বাঁধে বলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়৷ বিরোধী দলনেতার দায়ের করা মামলার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক বলেও রাজ্যের জমা দেওয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়৷ কিন্তু সেই রিপোর্ট এবং রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা রাখতে পারেনি হাইকোর্ট৷
নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই এই সিবিআই-এর হাতে তদন্ত ভার তুলে দেওয়া হল। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানানো হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
বিজেপি-র অভিযোগ ছিল, এই ঘটনার পর উল্টে পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপি-র প্রায় ৪৮ জন নেতা, কর্মীর নামেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়৷ পরে অবশ্য ওই সমস্ত গ্রেফতারির উপরে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত৷