২০১৬ সালের পর যারা সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন, বেতন পাচ্ছেন তাদের বিষয়ে চলছে বিস্তারিত খোঁজ। অন্যের সুপারিশের মেমো নাম্বার কারচুপি করে কাজ করছেন এহেন অভিযোগের ক্ষেত্রে তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। গোথা এ আর স্কুলে নিয়োগ জালিয়াতির ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ রাজ্যের৷
সম্প্রতি হাওড়ার একটি মামলার প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে একটি বিদ্যালয়ে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। অন্য দিকে ওপর একটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ পড়ুয়া আছে, কিন্তু বাংলার শিক্ষক নেই, ২০১৬ সাল থেকে অঙ্কের শিক্ষক নেই। তার পরেই বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু।
advertisement
অন্যের নিয়োগপত্র নকল করে গত তিন বছর ধরে মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা এ আর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন প্রধান শিক্ষক আশিস তেওয়ারির পুত্র অনিমেষ তেওয়ারি। এই ভুয়ো শিক্ষক কাণ্ডের তদন্তে এর আগে বহরমপুরের শিক্ষাভবনে হানা দেয় সিআইডি। এবার গোঠা এ আর হাইস্কুলে এল সিআইডি-র ৬জনের প্রতিনিধির দল। শুধু অনিমেষ তেওয়ারি নয়, অনিমেষ তেওয়ারির মতো আরও অনেক ভুয়ো শিক্ষক রয়েছে বলেই মনে করছেন সিআইডি আধিকারিকরা। এদিন স্কুলের সমস্ত শিক্ষকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। জানা গিয়েছে, যে সব শিক্ষক স্কুল থেকে বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
