অভিযুক্ত ছাত্রের বাবা চন্দন মজুমদার বলেন, ‘এটা খুব হাস্যকর নয়? ওখান থেকে ওসব বলে দিল আর এখানে ছেলেপুলেরা আরম্ভ করে দিল! যাদবপুরে কখনও এইভাবে আন্দোলন হয় না। আমি যাদবপুরকে যতদূর দেখেছি। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি নিজে যাদবপুরের ছাত্র। পরবর্তীতে পড়িয়েছি। তাই বলতে পারি যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলন এইভাবে হয় না। একটা কেউ বাইরে দিয়ে বলে দিল আর যাদবপুরে হইচই হল এইভাবে আন্দোলন হয় না।’
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট বিপত্তির মুখে পদাতিক এক্সপ্রেস, রানিনগরে ঢোকার মুখে ইঞ্জিন বিকল! তারপর?
তাঁর আরও দাবি, ‘টার্গেট করা হয়নি। হিন্দোল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিল। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে স্পেন কেন ইউরোপেরও যে কোনও জায়গা থেকে কেউ থাকতে পারে। এই বিষয়ে লুকআউট নোটিশ কেন জারি হল, তা জানা নেই। কলকাতা পুলিশের সকলে আমার পরিবার এবং আমাকে চেনে। আইপিএস মহলের আমাকে সবাই চেনে। আমাকে যদি একবার কেউ বলতো আপনার ছেলে এলে দেখা করাতে নিয়ে আসবেন। আমি নিয়ে যেতাম কি আছে এতে!’
আরও পড়ুন: মায়ের বয়স ২৬, মেয়ের ২০ আর ছেলে ১৮ বছরের! বিজ্ঞানকেও হার মানাবে ভোটার তালিকা, বাংলার কোথায়?
হিন্দোলের বাবা আরও বলেন, ‘এর আগেও যখন ছাত্র ছিল ডিএসএফ করত বলে আমি জানি। তখনও ওকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ফোনে কথা বলা হয়েছে। সমস্তটাই আমি জানি। পুলিশকে সবসময় সাহায্য করেছে ও। হঠাৎ এটা কেন হল আমি বলতে পারব না। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে এই মামল কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনি লড়াই লড়ব। ইতিমধ্যে আইনজীবীও ঠিক হয়ে গিয়েছে।’
গত ১ মার্চ তৃণমূলপন্থী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন ব্রাত্য বসু। অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে অতি-বামপন্থী ছাত্ররা তাঁকে ঘেরাও করেন। তাঁদের দাবি, কলেজে নির্বাচন করতে হবে। পুলিশের অভিযোগ, এই হামলারই পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন হিন্দোল। এই ঘটনায় গত মার্চ মাসে তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও, তাঁরা বর্তমানে জামিনে আছেন।