চোখের দৃষ্টিতে যাঁদের শুধুই অন্ধকার, তাঁদের জন্য অনুভূতিই সব। শারদোৎসবের আমেজ-উদ্দীপনায় তাঁরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন, তার জন্য নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ। দৃষ্টিহীনরাও যাতে পুজোর কলকাতায় কারও সাহায্য ছাড়া একা-একাই ঘুরে বিভিন্ন মণ্ডপ দেখতে পারেন, তার জন্য রোটারি সদনে উদ্বোধন হল ‘ব্রেইল পুজো গাইড’-এর । সঙ্গে থাকবে ব্রেইল ডিসপ্লে স্ট্যান্ড।
advertisement
যৌথভাবে এমন দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ নিল দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এনআইপি, রোটারি ক্লাব এবং একটি বেসরকারি স্কুল। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, গ্র্যান্ডমাস্টার দীবেন্দু বড়ুয়া, রিচা শর্মা-সহ আরও অনেকে। এ দিন রামমোহন সম্মিলনী পুজো মণ্ডপের থিম পাঠ করে ব্রেইল ডিসপ্লে বোর্ডের উদ্বোধন করেন এক দৃষ্টিহীন। এই ব্রেইল গাইডের মাধ্যমে শহরের কোথায় কোন পুজো প্যান্ডেলে কী থিম হচ্ছে, তা জানতে পারবেন দৃষ্টিহীনরা। তার সঙ্গে রামমোহন সম্মিলনীর মতো কোনও পুজোমণ্ডপে ব্রেইল ডিসপ্লে স্ট্যান্ড থাকলে সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট প্যান্ডেলের থিম ও দেবীর প্রতিমার সাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন তাঁরা।
সব পুজো কমিটিকেই তাঁদের মণ্ডপের পাশে ব্রেইল ডিসপ্লে বোর্ডে পুজোর থিম রাখার আবেদন জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। এমন অভিনব উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কলকাতা শহরে দুর্গাপুজো মানে এত মানুষ, এত আলো, এত উৎসব। কিন্তু যাঁরা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাঁরাও যাতে পুজোর সবটুকু আমেজের ভাগীদার হতে পারেন, তার সুযোগও আমাদেরকেই করে দিতে হবে।’ একই সঙ্গে শহরের যেসব পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের মণ্ডপে দৃষ্টিহীন, বিশেষভাবে সক্ষম ও প্রবীণদের জন্য ঠাকুর দেখার সুব্যবস্থা রাখবেন, তাঁদের জন্য এবারের শারদ-পুরস্কারের ঘোষণাও করা হয় এ দিন।
