আইএসএফ ও বিজেপি। লোকসভা ভোটে দুই দলেরই পাখির চোখ ডায়মন্ডহারবার। দুই দলই চাইছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন ,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসনের বিরুদ্ধে নওশাদ ভাইয়ের লড়াইয়ে নিষ্ঠা আছে বলে আমার মনে হয়েছে।’ শুভেন্দু অধিকারী আগে এক সভা থেকে কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে এও বলেছিলেন, ‘দেখা হবে ২৪ এ। বলেছি হারাবো হারাবো, কি করে হারাতে হয় আমরা জানি।’
advertisement
এদিকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘নওশাদ ভাল ছেলে। তবে ওঁর পথ এবং মত আমাদের থেকে আলাদা। তাও বলবো, নিচু তলার মানুষরা জোট বাঁধুন। ঝান্ডা সরিয়ে দিয়ে ময়দানে নামুন। ফলাফলের পর ঝান্ডা হাতে নেবেন।’ আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে একুশে বিধানসভা ভোটে লড়ে বামেরা। আইএসএফ বিধানসভায় খাতা খুললেও সিপিআইএম শূন্য হয়ে যায়। এবার আইএসএফ লোকসভা ভোটে ডায়মন্ডহারবারে লড়বে বলে জানিয়েছে। এ নিয়ে কী বলছে সিপিআইএম? আমাদের লক্ষ্য, তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়কেই পরাজিত করা। তার জন্য যা করতে হয় করা হবে।’
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট ৫০ শতাংশেরও বেশি। এই ডায়মন্ড হারবার থেকেই চব্বিশের ভোটে লড়াই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ভাঙরের বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। অনেকেই মনে করছেন, সংখ্যালঘু প্রধান ডায়মন্ডহারবার থেকে নওশাদ লড়লে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনটা হলে বিজেপিরই লাভ। তাহলে কি বিজেপির লাভ করে দিতেই ডায়মন্ডহারবারে দাঁড়াবেন নওশাদ? এই তত্ত্ব অবশ্য নওশাদ সিদ্দিকি উড়িয়ে দিয়েছেন।
নওশাদ বলেন,’ আমরা এখানে তৃণমূল- বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি লড়াই করব। এবং সেন্ট্রালি বিজেপিকে হারাতে যে সহযোগিতা করার জন্য যে সহযোগিতা করার দরকার সেটা করব।’ শেষ পর্যন্ত কোন মডেল বাজিমাত করে ডায়মন্ড হারবারে, তার উত্তর দেবে সময়ই।