সম্প্রতি বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, রাজ্যের সব ক’টি পুরসভার বাকি থাকা ভোট একসঙ্গে না হলে মামলা করা হবে। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে পুরভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বলছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে শুধু কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় ভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। বকেয়া সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোটের জন্য তাই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী'! এবার বিস্ফোরক অভিযোগে সরব 'আদি' BJP নেতা
কিন্তু এমন এক পরিস্থিতিতে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কলকাতাটা পরে দেখছি। কিন্তু নোটিফিকেশন অনুযায়ী যদি ১৯ ডিসেম্বর হাওড়ায় ভোট করাতে চায় সরকার, তাহলে পারবে না। আমরা করতে দেব না।' এর ঠিক পরপরেই অবশ্য প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ''একসঙ্গে হোক বা আলাদা হোক, পূর্ণশক্তি দিয়েই বিজেপি ভোটে লড়বে। বিজেপি ভোট থেকে পিছিয়ে যাবে না।'' অর্থাৎ, হাওড়ার পুরভোট নিয়ে এবার প্রকাশ্যে চলে এল দিলীপ-সুকান্ত মতানৈক্য।
আরও পড়ুন: 'বিরোধী দলনেতার পদ চলে যাচ্ছে', শুভেন্দুর 'দলবদল' সম্ভাবনা? বিস্ফোরক দাবি সৌমেনের!
২০১৮ সাল থেকে পুরভোট হয়নি রাজ্যে। কেন শুধু কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট করার কথা ভাবা হচ্ছে? তা নিয়ে সোমবারই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার পরই সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘রাজ্যে সব কটি পুরসভায় বকেয়া ভোট এক সঙ্গেই করাতে হবে। নাহলে হাইকোর্টে মামলা করবে বিজেপি। আর যদি নিরাপত্তার কারণে একান্তই এক সঙ্গে ভোট করানো না যায়, তা হলে ভোটের ফলাফল যাতে এক দিনে ঘোষণা করা হয়, সেই দাবি রাখছি। ভোট এক সঙ্গে হলে বিজেপি-র লড়ার ক্ষমতা রয়েছে।''
উপনির্বাচন শেষ হতেই রাজ্যে পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা-হাওড়ায় পুরভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সরকার। সূত্রের খবর, তা অনুমোদিত হয়ে গেছে।